রিকি অবশেষে মিঠাই এর কাছে স্বীকার করে নিল সেই সিদ্ধার্থ! মিঠাই কি এতো সহজে ক্ষমা করে দেবে সিদ্ধার্থকে?
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ সাম্প্রতিককালের অন্যান্য সকল ধারাবাহিকের থেকে বেশ অন্য ধরনের। এই ধারাবাহিকে পরকীয়া, ত্রিকোণ প্রেম, পারিবারিক কুটকাচালি এখন অবধি সেভাবে জায়গা পায়নি। মোদক বাড়ির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা, হল্লা পার্টির সদস্যদের পরিকল্পনা, মিঠাই সিদ্ধার্থর রসায়ন নিয়েই এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন জয় করেছিল এবং একসময় পরপর বেশ কয়েক মাস ধরে এই ধারাবাহিক বেঙ্গল টপার হয়েছে। আজও এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। তবে সাম্প্রতিক কালে ধারাবাহিকের গল্প নতুন দিকে মোড় নিয়েছে।
মিঠাই ধারাবাহিকে সম্প্রতি দেখানো হচ্ছে যে, অসৎ ব্যবসায়ীদের ধরবার জন্য সিদ্ধার্থ বেরোয় এবং এরপর তার গাড়ি দুর্ঘটনা দেখানো হয়। দুর্ঘটনায় সিদ্ধার্থর গাড়ি পাওয়া গেলেও তার দেহ পাওয়া যায় না, এরপর মিঠাই তে সম্পূর্ণ অন্য বেশে হাজির হয় রিকি দ্য রকস্টার। তার হাবভাব সিদ্ধার্থর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হলেও মিঠাই দৃঢ়বিশ্বাস যে এই তার সিদ্ধার্থ। অন্যদিকে ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে রিকি অসৎ ব্যবসায়ীদের না ধরা অবধি কারোর কাছে স্বীকার করে না যে সে সিদ্ধার্থ! সে নিজেকে রকি বলেই প্রমাণ করতে থাকে।
তবে আর লুকোচুরি নয়, এইবার রিকি মিঠাইয়ের কাছে স্বীকার করে নিল যে সেই সিদ্ধার্থ আর তার সবটা মনে আছে। আলাদাভাবে মিঠাইকে ঘরে নিয়ে গিয়ে সে সত্যিটা জানাই, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রেগে যায় মিঠাই কিন্তু সিদ্ধার্থ বলে, কী পরিস্থিতিতে সে এই কাজ করেছে তা জানলে মিঠাই আর রাগ করে থাকতে পারবে না!
সিদ্ধার্থ বলে,“তুমি যদি একবার আমার পরিস্থিতিটার কথা জানতে না মিঠাই, তাহলে তোমার রাগটা উড়ে বেরিয়ে যেত বিশ্বাস করো!” মিঠাই জানায় যে, “আমি দিনের পর দিন তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি কিচ্ছু মনে নেই গো তোমার? কিন্তু তুমি বলোনি আর আজ তুমি আমাকে ডেকেছ সবটা বলার জন্য। না গো মিঠাইয়ের এগুলো শোনার কোন দরকার নেই, মিঠাই এখান থেকে চলে যাচ্ছে আর মিঠাই কে তোমার আর পছন্দ নয় সেটা বোঝাই যাচ্ছে। ”
এরপর মিঠাইকে ঠান্ডা করার জন্য সিড একটা লাঠি এগিয়ে দেয় আর বলে, এটা ধরো আর যত ইচ্ছা মারো দিয়ে মাথাটা ঠান্ডা করো। মিঠাই তখন বলে, জানে কিনা আমি মারতে পারবো না তাই ড্রামা করা হচ্ছে। এরপর দেখা যায় সিদ্ধার্থ মিঠাইকে জড়িয়ে ধরেছে আর বলছে, “আজ তোমার উচ্ছে বাবু শুধু মিঠাই রাণীর জন্যই ফিরতে পেরেছে। বিশ্বাস করো অ্যাক্সিডেন্টটা একদম রিয়েল ছিলো, কোন ড্রামা ছিলো না।”