গরিমার একজন ভালো নায়ক আসুক! প্রতিনিয়ত ও এইভাবে চিট হোক চায় না!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘রোশনাই’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, তৃতীয় ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও সকলে গরিমাকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। একজন ভিলেনকে মানুষ যে রকমভাবে খল হিসেবে দেখেন, গরিমা কে ঠিক সেই চোখে দেখেন না।
বরং একজন প্রতারিত নারী হিসেবেই গরিমাকে তারা দেখেন, যে তার প্রেমিককে অসম্ভব ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে আর তার প্রেমিক তাকে মুখে ভালোবাসি বললেও আসলে ঠকায়। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে আরণ্যক রোশনাইয়ের প্রতি একটু একটু করে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
আরণ্যক চরিত্রের এই দুর্বলতা দেখে প্রচুর মানুষ এই চরিত্রের নিন্দা করেছেন। তারা কিছুতেই আরণ্যক চরিত্রটিকে এইভাবে মেনে নিতে পারছেন না। এই চরিত্র নিয়ে তাদের মনে বিস্তর সংশয় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“গরীমার একজন নায়ক আসুক,আর চাই না ভালবাসার নামে প্রতিনিয়ত চিট হতে থাকুক
দ্বায়িত্ব যারা আরণ্যক চরিত্রটাকে এখনো সাধু সাজানোর চেষ্টায় তাদের জীবনে যেন একটা আরণ্যক আসে যে তোমাদের মুখে বলবে ভালবাসবে কিন্তু তোমার খারাপ লাগা, ভাল লাগার চেয়ে বেশি দিওয়ানা থাকবে অন্য মেয়েকে নিয়ে”
ঐ দর্শক আরো লিখেছেন যে,“কিছু পুরুষ থাকেই এমন নাটক করবে অন্য কোথাও তারপর ধরা পরলে বলবে বলিনি, মিথ্যা বলেছি তুমি কষ্ট পাবে বলে,আরণ্যক হচ্ছে সেরকম।
কারো উপকার করা ভাল,কিন্তু অন্যের উপকার করতে নিজের মানুষদের ক্ষতি করে,ঠকিয়ে যে উপকারটা করা হয় আমি সত্যি তাতে মহত্ত্ব খুঁজে পাচ্ছি না।
রোশনাই কে? ও বাবা এখন বলবেন বউ,বউয়ের টান,ত বউয়ের প্রতি যখন এতোই টান তাহলে কেন সেদিন বন্ধ করে গরীমাকে কিস করতে গেছিল,ওহহ বাবা তখন ত আবার বলবেন বিয়েটা আরণ্যকও মানে না,রোশনাইও না,রিলেশনে কিস হয়েই থাকে যে জায়গায় বিয়েও ঠিক,অবশ্য আমিও এই কথার সমর্থক, হয় সেদিন গরীমাকে কিস করাটাকে নোংরামি বলুন আর নয় এখন যা করছে সেটা গরীমার প্রতি অন্যায় বলুন।
সিরিয়াল দেখে কি শিখবে এমন কথা আমি বলব না,কিন্তু বিনোদন পাওয়ার নামে এসব কি,সিরিয়াল দেখে ত দর্শক অন্তত সুস্থ বিনোদন পাওয়ার কথা!! কিন্তু এখানে চিট করাটাকে প্রমোট করা হচ্ছে, দেখানো হচ্ছে কিভাবে পুরুষ গভীর প্রেম ভুলে যায় অন্য নারীর সংস্পর্শে এলে,ছিঃ কি টান আরেক মেয়ের প্রতি যে নিজের ভালবাসার মানুষরে সময় দিতে পর্যন্ত পারে না,মাথা গরম,টেনশন, চাপ কত কিছু গরীমার কাছে এলেই,কিন্তু রোশনাইয়ের কাছে এলে এসব কিচ্ছু থাকে না
আরণ্যক ভাল হৃদয়ের মানুষ, একটা মেয়ের উপকার করছে,অন্যায়টাকে সাপোর্ট করছে না,ওকে মেনে নিলাম এতো যখন ভাল মানুষ তাহলে বাইরের একটা মেয়ের জন্য নিজের মা বাবার মুখে মুখে তর্ক করছে,হাজারটা মিথ্যা বলছে,তাহলে ওর নিজের বাড়িতে যে ওর বড়মা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে, প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে না,খেটে মরছে শুধুমাত্র ওনার স্বামীর ইনকাম কম বলে,সে বেলায় আরণ্যক চুপ কেন??কোথায় ভালমানুষী?? লেখিকা কি বুঝে লিখতেছেন? নাকি উনার জীবনেও এমন ঘটনা ছিল”