মেয়েটাকেও রেহাই দেয়নি! “হু ইজ কেকে” বিতর্কে কেঁদে ভাসালেন রূপঙ্কর! ‘দিদি নম্বর ১’এ এসে কেঁদে ফেললেন রূপঙ্কর
“হু ইজ কেকে?”এই মন্তব্য করে গত বছর গায়ক রূপঙ্কর বাগচী সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন। এরপর কেকের আকস্মিক মৃত্যু অনেকটাই পাল্টে দেয় রূপঙ্করের জীবন। তার প্রভাব শুধুমাত্র রুপঙ্করের নিজের জীবনেই পড়েছে এমনটা নয়, বাদ যায়নি তাঁর স্ত্রী কন্যা। গত ৩১ মে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সঙ্গীতশিল্পী কেকে। তারপর থেকে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে শুরু করে কটূকথা এবং সর্বপরি ট্রোলিংয়ের শিকার হন রূপঙ্কর।
বছর কেটে গেলেও যেনো কেকে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রূপঙ্করের। বরং সুযোগ পেলেই বেঁফাস মন্তব্যের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হতে হচ্ছে তাঁকে। রূপঙ্করের স্ত্রী এবং কন্যাও এই ট্রোলের হাত থেকে বাদ যাননি। দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে সেই কথাই বললেন রূপঙ্কর বাগচী। জানালেন, জীবনের ওই কঠিন সময়টা তিনি এবং তাঁর পরিবার কিভাবে কাটিয়েছেন।
প্রতি রবিবার দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে সেলিব্রিটিরা খেলতে আসেন। এমনভাবেই এক রবিবারে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপাঞ্জন জ্যাক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। বাকি অংশগ্রহণকারীদের মতই রূপঙ্কর এবং তার স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ী তাদের এত বছরের দাম্পত্য জীবনের ওঠানামার বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরেন রচনা ব্যানার্জীর সামনে।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে উঠে রূপঙ্করের স্ত্রী এদিন বলেন,”জীবনে অনেক ওঠাপড়া আসে। তবে সব কিছুতে আমি ওঁর পাশে বন্ধু, ফিলোজফার, গাইড হিসেবে আছি। তোমার এখানে অনেক দিদিরা এসে নিজেদের লড়াইয়ের নানান গল্প বলেন। ওঁদের গল্প শুনলে আমার মনে হয় আমার লড়াইটা অনেক সহজ ছিল। আসলে আমরা শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। তাই কোথায় পৌঁছাবো সেটা নিয়ে অত বেশি ভাবিনি। শুধু আমার মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম”। স্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি রূপঙ্কর।
চৈতালি বলেন, “সময়টা খুব খারাপ গিয়েছে। কাউকে যেন এই অবস্থায় কখনও পড়তে না হয়”। এই প্রসঙ্গে রূপঙ্কর জানান, “সত্যি খুব কঠিন সময় গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে আমার মেয়ে যা যা ফেস করেছে সেটা কোনও মা-বাবা চান না তাঁর সন্তান ফেস করুক। তবে আমার স্ত্রী এবং কন্যার জন্য আমি সেই সময়টা পার করে আসতে পেরেছি। ওঁরা দু’জন আমার পাশে আছে বলে আমি আজ এখানে আছি”।