মা-হারা মিঠাই রানীর মন ভালো করতে, মুখে হাসি ফোটাতে গান করলো সিদ্ধার্থ! গলা মেলালো হল্লা পার্টি
টিআরপির দৌড়ে জি বাংলার ‘মিঠাই’ শুরুর সময় থেকেই রয়েছে এক নম্বরে। পর্দার মিঠাইয়ের প্রাণবন্ত অভিনয় রীতিমতো নজর কেড়েছে দর্শকদের। মিঠাই চরিত্রে অভিনয় করে সৌমিতৃষা কুন্ডু দর্শক মাঝে এক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। পর্দায় তার সাথে আদৃত রায়ের রসায়ন পছন্দ দর্শকদেরও। সম্প্রতি নিজের মাকে হারিয়ে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে মিঠাই। সারাদিন বকবক করে চলা মেয়েটা একেবারে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তাকে এই অবস্থায় কিছুতেই দেখতে পারছেনা মোদক বাড়ির সদস্যরা। তারা প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা করে চলেছেন তার মন ভালো করার জন্য। সাম্প্রতিক এপিসোদে তার মন ভালো করতেই গান ধরেছিল সিদ্ধার্থ।
কয়েকদিন আগেই ধারাবাহিকের পর্দায় দেখানো হয়েছে সিদ্ধার্থ মিঠাইকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য জনাইতে গিয়ে তার মা ও ভাইকে নিয়ে এসেছিল মোদক বাড়িতে। এরপরে তাদের সকলকে নিয়ে ঘুরে দেখেছে গোটা কলকাতা শহর। খাওয়া-দাওয়াও করেছে রেস্টুরেন্টে। আর তার কয়েকদিন পরেই তার মায়ের মৃত্যুর খবর আসে। সে তার মাকে শেষ দেখাও দেখতে পায়নি সেটাই তার আক্ষেপ। তার মা চেয়েছিল মিঠাই তার হাসিমুখটাই মনে রাখুক। তাই মিঠাইকে সেইসময় খবর দিতে বারণ করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই খবর পেয়ে খুব বড় ধাক্কা খেয়েছিল মিঠাই।
তাকে এমন মনমরা ভাবে দেখতে পারছিলনা মোদক বাড়ির কেউই। তাই তারা ঠিক করে, তারা এমন কিছু করবে যাতে মিঠাইয়ের মন ভালো হয়ে যায়। দাদাই বলে মিঠাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে গান-বাজনা। আর এই কথা শুনেই সিদ্ধার্থ গান ধরে মিঠাইয়ের মন ভালো করার জন্য। তার সাথে গলা মেলায় হল্লা পার্টির সকলেই। এরপরেই সমরেশ বাড়ি ফেরে আর তাদের মিষ্টি হাবের ওপেনিং হওয়ার সুখবর জানায়। আর সব মিলিয়ে শেষপর্যন্ত মিঠাইয়ের মন ভালো হয়ে যায়। এরপর গল্পের মোড় কোন দিকে ঘুরবে? আর মিঠাই ও সিদ্ধার্থের দাম্পত্যইবা কোন দিকে মোড় নেবে? সেটা দেখার জন্যই অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।