ক্রমাগত বয়কট আন্দোলনের জেরে অবশেষে ইংরেজিতে ক্ষমা চাইলেন সুদীপা ‘আমি যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি তাহলে দুঃখিত’! যারা তাকে ট্রোল করেছেন তারা ২ মিনিটের খ্যাতি চান- এ কথাও বলেন তিনি!
জি বাংলার রান্নাঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লেখেন,“ আমি শুধু জানতে চাই একজন ডেলিভারি বয়ও ফোন না করে কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না? ফোন আমি আসছি আপনি গেটটা খুলুন।আমি কি দারোয়ান, যে গেট খুলব?”- তার এই মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন তার ওপর চটে যান। সকলেই বলতে শুরু করেন যে সুদীপা অত্যন্ত অহংকারী মানসিকতার মানুষ তাই তিনি সকলের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
এমনকি সুদীপার এই মন্তব্যের জন্যে রান্নাঘর কে বয়কট করার বিষয়েও নেটিজেনরা উঠে পড়ে লাগেন। সুদীপা এর পর নিজের পোষ্টের ব্যাখ্যা করে বলেন যে,“আগেকার দিনে পোস্টমাস্টারদের কাছে জিপিএস, নেভিগেশন থাকত না, তাও তাঁরা বাড়ি খুঁজে ঠিক চলে আসতেন। এখন ‘অ্যাভয়েড কলিং’ লেখা থাকলেও ডেলিভারি বয়েরা ক্রমাগত ফোন করতে থাকেন– সেই কারণেই নেহাত মজা করে একটি পোস্ট করেছিলাম। অপমান কেন করতে যাব? আমার তো তাঁদের সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই।”
এরপরে ইনস্টাগ্রামে তিনি একটি পোস্ট করে লেখেন,“দরিদ্র ডেলিভারি বয়কে অপমান কেন করতেই যাব আমি? এত যে ঘৃণা কোথা থেকে আসে জানেন? আসে আপানাদের হতাশা থেকে। যা কিনা মব লিঞ্চিং হিসেবে কাজ করে। কী লেখা হয়েছে না বুঝে নিজের মতকে চাপিয়ে দেন আপনারাই। আর তা করে আপনার মধ্যে বেশ এক নৈরাশ্যজনক আনন্দ মেলে। এই কাজ আপনাকে দু’মিনিটের খ্যাতি দিয়ে থাকে। কোন পরিবেশ থেকে আপনি এসেছেন তাও বুঝিয়ে দেয়।”
View this post on Instagram
একই সাথে সুদীপা ক্ষমা চেয়ে লেখেন,“আশা করছি, নিজেকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। যদি কাউকে আঘাত করি তবে আমি দুঃখিত। আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে করিনি। মা আসছেন। তাই অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে ভাল-র পুজোয় মাতি”