আমার থেকেও বড় বেঈমান জামাই! সোনা রূপার কাস্টাডি চাইতেই সূর্যকে অপমান রত্নার
দিন দিন যেন একঘেয়ে হয়ে উঠছে স্টার জলসার ধারাবাহিক “অনুরাগের ছোঁয়া”। নায়ক নায়িকার দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদের পর যায় একটু মিল হয়েছিল, তাও যেন সহ্য হলো না নির্মাতাদের। আবারো বিচ্ছেদ হয়ে গেল সূর্য-দীপার। তাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব যেন মিটিতেই চায় না। এখনো পর্যন্ত ট্র্যাকে কোন পরিবর্তন আনছেন না নির্মাতারা। টিআরপি তালিকাতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে এই ধারাবাহিক। মিশকার ইন্ধনে আবারো সোনা-রূপার কাস্টডি ক্লেম করছে সূর্য।
সূর্য আর দীপার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর,, সোনা আর রূপাকে সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সূর্য আর তার মা লাবণ্য। যদিও দীপাকে নিয়ে যেতে চায়না তারা। এদিকে মাকে বাড়ির না নিয়ে গেলে নিজেরাও বাড়ি ফিরবে না বলে জানিয়ে দেয় সোনা আর রূপা। এবার মিশকার উস্কানিতে সোনা-রূপার কাস্টডির জন্য আদালতে যাচ্ছে সূর্য।
আরও পড়ুন : ‘দেবী চৌধুরাণী’ শ্যুটিংয়ের তারাপীঠে শ্রাবন্তী, প্রার্থনা করলেন মা তারার কাছে
এদিনের পর্বে দেখা যাবে, মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করছে দীপা। বন্ধু হিসেবে পাশে রয়েছে অর্জুন। সোনা রূপার ভালো থাকার কথা চিন্তা করে একটি পিয়ানো কিনে নিয়ে আসে অর্জুন। অর্জুন, দীপা, সোনা, রূপা, জয়, ঊর্মি এবং রত্নাদেবী সকলে মিলে মজা করে ফুচকা খেতে যাবার পাশাপাশি, বাড়ি ফিরে পিয়ানো বাজিয়ে নাচ গানে মেতে ওঠে। তখনই সেখানে হাজির হয় সূর্য।
ঠিক সেই সময় সেখানে এসে হাজির হবে সূর্য। সকলকে আনন্দ করতে দেখে সূর্য বলে, এখানে তো সবাই ভালই আছে। শুধু সেই ভালো নেই। দীপা নাকি কখনো তার কথা কোনদিন ভাবেনি। তাই সোনা রূপাকে নিয়ে যেতে চায় সূর্য। রত্না দেবী রেগে গিয়ে বলেন, “তুমি তো দেখছি আমার থেকেও বড় বেইমান।” দীপা বলে, “যদি এমনটা হয় তাহলে তাই হোক, আমিও এবার থেকে নিজের কথাই ভাববো।”
আরও পড়ুন : “আমি পসেসিভ বর…পাত্তা দেয়না ম্যাডাম ডোনা”, দাদাগিরির মঞ্চে আক্ষেপ প্রকাশ সৌরভের
মুখের কথায় কাজ না হওয়ার কারণে দীপার হাতে সূর্য এদিন কাস্টাডির সমস্ত কাগজপত্র ধরিয়ে দেয়। কাগজপত্র হাতে পাওয়া মাত্রই দীপা এসব ছিড়ে কুঁচিয়ে ফেলে দেয়। জানিয়ে দেয়, এটাই তার উত্তর। এরপর দুই হাত বাড়িয়ে সূর্য তার মেয়েদের ডাকে। কিন্তু সোনা রূপা যেতে রাজি হয়না। রাগে দুঃখে অপমানে দীপার বাড়ি থেকে চলে জয় সূর্য।