নিজের বাবা-মার ভালোবাসা পেতে জগদ্ধাত্রীকে ব্যবহার করছে স্বয়ম্ভু, ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকে স্বয়ম্ভুর চরিত্রের উপর রেগে লাল দর্শক
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জগদ্ধাত্রী। ধারাবাহিক শুরুর সময় থেকেই ভিন্ন ধরনের গল্প তুলে ধরেছে দর্শকের সামনে। যার কারণে এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। প্রতি সপ্তাহেই এই ধারাবাহিক TRP তালিকায় দুর্দান্ত ফলাফল করে। ধারাবাহিকের নায়িকা একজন স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার। সে যেমন একদিকে ঘর সামলায় অন্যদিকে বাইরে ও দোষীদের শাস্তি দেয়। বর্তমানে মেয়েদের ঠিক যেমনটা হওয়া দরকার ঠিক তেমনটাই জগদ্ধাত্রী চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এই কারণেই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা এত বেশি। ধারাবাহিকে প্রত্যেক এ জগদ্ধাত্রীর চরিত্রের প্রশংসা করেন। অন্যদিকে ধারাবাহিকের নায়ক হলো জগদ্ধাত্রীর অফিস কলিগ। তবে ধারাবাহিককে জগদ্ধাত্রী চরিত্রটির উপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই আমরা ধারাবাহিককে দেখেছিলাম জগদ্ধাত্রী কে মেরে ফেলার জন্য উৎসব প্ল্যান করে। কিন্তু সেই প্ল্যান এসে সফল হয় না, উল্টে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় তার বাবা রাজনাথ মুখার্জি তাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করে। যাতে সকলেই মনে করে যে উৎসব মারা গিয়েছে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী সেই প্ল্যান ফাঁস করে দেয় আর প্রমাণ করে দেয় যে উৎসবে লুকিয়ে রয়েছে। আর যেই মৃত ব্যক্তিকে লাশ তারা পেয়েছে সেটা উৎসব এর না। এরপর এই জগদ্ধাত্রী উৎসবকে খুঁজে বের করে এবং অ্যারেস্ট করে নেয়। আর উৎসব অ্যারেস্ট হবার পর থেকেই উৎসবের মা বৈদেহী মুখার্জী সবসময় চিন্তা করে যাচ্ছে কিভাবে ছেলেকে সে বাঁচাবে।
এতদিন পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিকে দেখে এসেছি উৎসবের মা আসলে স্বয়ম্ভুর সৎ মা। এতদিন পর্যন্ত তিনি স্বয়ম্ভুকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেন না। তবে হঠাৎই স্বয়ম্ভুর প্রতি ভালোবাসা উথলে উঠছে তার। নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে, ভালোবাসছে। আর এই সবটাই সে করছে জগদ্ধাত্রীকে স্বয়ম্ভুর থেকে দূরে করার জন্য। আর যাতে স্বয়ম্ভু জগদ্ধাত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করে উৎসব কে ছেড়ে দেয়। কিন্তু সেটা সে কিছুই বুঝতে পারছে না। সে জগদ্ধাত্রীকে বারবার চাপ সৃষ্টি করছে যাতে সে উৎসবকে ছেড়ে দেয় তার জন্য। উল্টোদিকে কৌশিকী মুখার্জি, সবটাই বুঝতে পেরে জগদ্ধাত্রী থেকে এই বিষয়ে সাবধান করতে চায়।
এরপর জগদ্ধাত্রী জানাই সেসবটাই জানে আসলে স্বয়ম্ভু তাকে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র নিজের বাবা-মার কাছে যাওয়ার জন্য। যখন তার সব থেকে বেশি দরকার ছিল তখন স্বয়ম্ভু তার পাশে নেই। অন্যদিকে তার সৎ মায়ের কথায় জগদ্ধাত্রীকে ভুল বুঝছে। উৎসব এত বড় একজন ক্রিমিনাল হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জগদ্ধাত্রীকে চাপ দিচ্ছে। আর এতে করেই দর্শক একেবারে পছন্দ করছে না স্বয়ম্ভুর চরিত্রটি। এর আগে অবশ্য এই চরিত্রটি খুব একটা পছন্দ করতেন না দর্শক। তার কারণ নায়ক হিসেবে স্বয়ম্ভুর চরিত্রটির কোন ভূমিকায় দেখা যায়নি ধারাবাহিকে। নায়িকা কে এই ধারাবাহিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সে কি করে একজন এত বড় পুলিশ অফিসার হয়ে উৎসবের মত ক্রিমিনাল কে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে পারে। এই কথা শুনে দর্শক অবাক হয়ে গিয়েছেন। আর যখন সে বারবার জগদ্ধাত্রীকে নিজের ভালো বন্ধু হিসেবে দাবি করে তখন বন্ধুর বিপদে সে বন্ধুর পাশেই নেই তাই একেবারেই পছন্দ করছেন না দর্শক।