‘বন্দুকের গুলিতে আবার প্যাট প্যাট শব্দ হয় নাকি’! পিহুকে বাঁচাতে শেষমেশ নিজের হাতে বন্দুক তুললো ঋষি, তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মন ফাগুন। পিহু আর ঋষির ঝগড়া, মান অভিমান, খুনসুটি দেখতে দেখতে এই জুটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন দর্শক। ছোটবেলার ভালোবাসা প্রিয়দর্শিনী অর্থাৎ পিহুকে হারিয়ে ফেলেছিলো টুবাই দা অর্থাৎ ঋষিরাজ। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এরপর তারা আবার কাছে আসে। টুবাই দা আর প্রিয়দর্শিনীর মাঝখানে এসে পড়েছিল মিলি নকল প্রিয়দর্শিনী সেজে। তাকে প্রমাণ সমেত ধরার পরে আশা করা গিয়েছিল আবার এক হবে পিহুঋষি। কিন্তু না সম্প্রতি নতুন যে প্রোমো দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ভালোবাসার অগ্নিপরীক্ষা হচ্ছে তাদের।
মনিকা পিহুকে বোঝাচ্ছে যে ঋষির বাবা ই পিহুর বাবা-মায়ের খুনি, আর সবকিছু জেনেশুনে তার টুবাই দা এবং টুবাইদার পরিবার তাকে সত্যিটা লুকিয়ে ঠকিয়ে গেছে চিরকাল। এরপর মনিকা পিহুর হাতে একটি বন্দুক তুলে দেয় এবং বলে ঋষি তাকে ঠকিয়েছে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। শাস্তি দেওয়ার জন্য পিহু বন্দুক নিয়ে ঋষি রাজের কাছে যায়, সে কেন সমস্ত সত্যিটা লুকিয়ে তাকে ঠকিয়েছে সেই কৈফিয়ৎ চায়। কিন্তু শেষে দেখা যায় পিহু ঋষিকে গুলি করার বদলে নিজের মাথায় বন্দুক ঠেকায়। তখন ঋষি বন্দুকটি সরিয়ে নিজের বুকের কাছে বন্দুকটা চেপে ধরে বলে প্রিয়দর্শিনী যেন তাকে গুলি করে। ঋষি বলে, শাস্তি আমাকে দাও প্রিয়দর্শিনী, নিজেকে নয়। এই সব বাকবিতণ্ডার মাঝে সৌমেন ঋষিকে গুলি করতে গেলে পিহু সেটা দেখে নিয়ে ঋষিকে বাঁচায়।
এরপর সাম্প্রতিক যে ভিডিওটি স্টার জলসা প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে পিহুর রক্তাক্ত নিথর শরীর ধরে কাঁদতে থাকে ঋষি। তারপর সৌমেন ও মনিকার পাঠানো গুন্ডাদের উদ্দেশ্যে এলোপাথারি গুলি করে সে। একসময় পিহুকে কোলে নিয়ে এদিক ওদিক দৌড়িয়ে লুকিয়ে পড়ে যাতে গুন্ডারা তাদের ধরে না ফেলে। কারণ গুন্ডারা যদি হাসপাতালে যাওয়ার সময় তাদের ধরে ফেলে তাহলে সে আর সঠিক সময়ে পিহুকে হাসপাতালে ভর্তি করে বাঁচাতে পারবে না।
এরপর দেখা যায় একটি ভ্যান রিক্সা জোগাড় করে পিহু কে নিয়ে একটি পুরনো বাড়িতে ওঠে ঋষি। সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে ঋষি নিজেই পিহুর ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে। একটা সময় পর পিহুর একটু ঞ্জান আসে তখন সে বলে যে, ঋষি জানতো তার বাবা অপ্রতিম সেন শর্মা কোথায় আছে। ঋষি, না বললেও পিহু বিশ্বাস করে না। ঋষি আরো বলে তাদেরকে মেরে ফেলবার জন্য মনিকাও সৌমেন মিথ্যে কথা বলছে তবু বিশ্বাস করতে পারেনা পিহু! এইবার কী হবে? ভালোবাসার অগ্নিপরীক্ষায় জিততে পারবে কি পিহু ঋষি ? নিজের ছোটবেলাকার বন্ধু প্রিয়দর্শিনীকে কি বাঁচাতে পারবে টুবাই দা? নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে নতুন করে কি লিখতে পারবে ভালোবাসার কাহিনী জানতে হলে চোখ রাখুন মন ফাগুনে।