দেশের মাটি ধারাবাহিকের খুনের দৃশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে প্লাস্টিকের খাঁড়া! আবারো কটূক্তির শিকার এই ধারাবাহিক
ইতিমধ্যে মিলন হয়েছে দেশের মাটি ধারাবাহিকের দর্শকের অতি পছন্দের জুটির। দেশের মাটি ধারাবাহিকে দর্শকের প্রিয় জুটি হলেন রাজা মাম্পি। একই সাথে এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত এবং অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।
কিন্তু তাদের জুটির জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে রাজা অর্থাৎ রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাম্পি অর্থাৎ রুকমা রায়ের রায়ের জুটি। এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে গল্পের নতুন মোড়। নোয়ার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। কিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার হলেন দেশের মাটির নোয়া। নোয়া তার পরিবারকে খুব ভালোবাসে তার পাশাপাশি ভালোবাসে তার স্বামীকেও। তাই তার পরিবার বা স্বামীর যে ক্ষতি করতে চায় তা কিছুতেই সহ্য করতে নারাজ নোয়া। শিবু গুন্ডার দীর্ঘদিনের উদ্দেশ্য কিভাবে মুখার্জি পরিবারের ক্ষতি করা যায়। এইজন্যই সে ফন্দি এটেছিল কিভাবে কিয়ানের ক্ষতি করা যায়।
তবে নোয়া জানতে পারে এতে তার স্বামীর প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই সে আর কোনভাবেই শান্ত থাকতে পারেনা। সোজা শিবুর বাড়িতে গিয়ে হানা দেয় সে। তারই শোবার ঘরে খাঁড়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে শিবুকে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়া হয়।
নোয়া শিবু কে খাঁড়া দিয়ে একের পর এক কোপ মারার সাথে সাথে বলছে, ‘সারাজীবন ধরে অনেক লোকের অনেক ক্ষতি করেছো। আর কারোর সর্বনাশ করতে পারবে না তুমি!’ এরপরে শিবুর বাবা ও মায়ের সামনেই অট্টহাসি হেসে বলে ওঠে নোয়া,‘আপনাদের ছেলেকে আমি পুরো শেষ করে দিয়েছি।’ সম্প্রতি নতুন প্রোমো সামনে এসেছে।
সেখানেই দেখা যাচ্ছে নোয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ মুখার্জি পরিবারে এসে হাজির হয়েছে। তবে নোয়া যদি এখন জেলেও যেতে হয় তাহলেও তার কোনো দ্বিধা নেই। কারণ সে জানে এখন তার পরিবার পুরোপুরি সুরক্ষিত। ছেলেকে খুন করার অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিবুর বাবা।
এমন বস্তাপঁচা গল্প নিয়ে নেট মাধ্যমে খিল্লির যেন আর শেষ হচ্ছে না। এর আগে নেটিজেনরা এই গল্পকে বস্তাপঁচা গল্প বলেই সম্বোধন করেছিলেন এবার দেখা যাচ্ছে আর এক নতুন বিষয়। নোয়া শিবুকে যে খাড়া দিয়ে খুন করেছে সেটা একটা প্লাস্টিকের খাড়া! এই প্রসঙ্গে কিছু কিছু নেটিজেন এর বক্তব্য, কেন আসল খাড়া দিয়েই এই শুট করা হলো না! নোয়ার সঙ্গে তুলনা শুরু হয়েছে জবার ও।
নেটিজেনদের একাংশের দাবি জবা তার হারিয়ে যাওয়া বোনকে ফিরে পেয়েছেন। অর্থাৎ একসময় করতে পারে না এমন কোন কাজ ছিল না, এখনো আর চরিত্রের ক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখানো হচ্ছে। আবার কিছু কিছু মানুষের বক্তব্য এটা দিয়ে একটা মশা মারা যাবে কিনা সন্দেহ মানুষ খুন তো দূরের কথা!