বাদ গেল না ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকও, এখানেও সেই উড়ন্ত সিঁদুর দিয়ে বিয়ে হলো সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের, ধারাবাহিকের এই দৃশ্য দেখে রেগে আগুন দর্শকদের একাংশ
র্তমানে মিঠাই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনার জন্য দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ধারাবাহিকে আবার মিঠাই কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মিঠাইয়ের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গিয়েছিল সে এতদিন পর্যন্ত বাঁকেরহাটে নফর চন্দ্র দাসের বাড়িতে ছিল। যেহেতু মিঠাইয়ের কিছুই মনে ছিল না তাই ওই নফর চন্দ্র দাস নামের ময়রা মিঠাই কে ব্যবহার করতো মিষ্টি বানানোর জন্য। তবে পরবর্তীকালে দেখা যায় সিদ্ধার্থ মিঠাই কে খুঁজে পায় এবং মিঠাই কে মনোহরাতে নিয়ে আসে। সঙ্গে আসে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের দ্বিতীয় সন্তান মিষ্টি। কিন্তু মিঠাইয়ের যেহেতু পুরনো কোন স্মৃতি মনে নেই তাই সে কিছুতেই মনোহরাতে থাকতে চায় না। তবে তার ঝাপসা ঝাপসা অনেক কিছুই মনে পড়ে তাই সে বুঝতে পারে তার অতীতের সাথে মোদক পরিবার জড়িত রয়েছে।
যার কারণে সে মনোহরা তে সিদ্ধার্থের কথায় থাকতে রাজি হয়ে যায়। মিষ্টিকে নিয়ে সে মনোহরাতে চলে আসার জন্য একবার নফর বাবুর বাড়িতে জানাতে যায় আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। যারা এই ধারাবাহিকের নিত্যদশক তারা আজকের পর্বে দেখতে পাবেন মিঠাইকে আটকে রাখার জন্য নফর চন্দ্র দাস তার ছেলে রনির সঙ্গে জোর করে মিঠাইয়ের বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেখানে হিরোর মত এন্ট্রি নেয় সিদ্ধার্থ এবং সিঁদুর দানের আগের মুহূর্তে আটকে নেয় সবকিছু। তারপরেই দেখা যায় ধারাবাহিকের সেই চিরাচরিত মুহূর্ত। উড়ন্ত সিঁদুর দিয়ে নায়ক নায়িকার বিয়ে।
এরপরই রনির ভাড়া করা গুন্ডারা মিলে সিদ্ধার্থকে আক্রমণ করে। এরপর সেখানে এসে উপস্থিত হয় রুদ্র, পুলিশ ফোর্স এবং হল্লা পার্টির সকলে। সেখানে পুলিশের সাথে হাতাহাতি হয় গুন্ডাদের। এই মারামারির মধ্যে হোমকুন্ডের আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন ধীরে ধীরে মিঠাইয়ের কারখানায় আগুন লেগে যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়তে থাকে। তবে আগের মত আবছা নয়, স্পষ্টভাবেই সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মনে পড়ে। সেখানে আগুন আগুন করে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় মিঠাই। তারপর সেখান থেকে মিঠাইকে মনোহরা নিয়ে যাওয়া হয়। জ্ঞান ফিরলে মিঠাই জানায় তার অল্প অল্প পুরনো কথা মনে পড়ছে। মিষ্টি যে সিদ্ধার্থের মেয়ে, তাও মেনে নেয় মিঠাই। এই এপিসোড দেখে দর্শকেরা অত্যন্ত খুশি।