হাত খরচের টাকা জমিয়ে মহিলাদের জন্য বাথরুম বানাচ্ছেন মন্দ্রিতা! কলেজ ছাত্রীর দাদাগিরির গল্পে মুগ্ধ সৌরভ
বাস্তব জীবনের চলার পথে যারা দাদাগিরি করে দেখিয়েছেন তারা এবার আসছেন জি বাংলার দাদাগিরি আনলিমিটেড সিজন ১০ এর মঞ্চে। এমনই একজন হলেন জামশেদপুরের মন্দ্রিতা।
বর্তমানে তিনি একজন কলেজ পড়ুয়া, প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিনি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন এই পড়ুয়া। তাই বিগত ১০ বছর ধরে মহিলাদের জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিয়ে চলেছেন তিনি।
সেই মন্দ্রিতাই এদিন এলেন দাদাগিরির মঞ্চে। এদিন দাদাগিরির মঞ্চে এসে প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া বলেন, জামশেদপুরের বিভিন্ন স্কুলে যেখানে মহিলাদের জন্য কোন বাথরুমের ব্যবস্থা নেই, সেই সমস্ত স্কুলে বিগত দশ বছর ধরে বাথরুম বানিয়ে চলেছেন তিনি। মহিলা সহ তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে।
কিন্তু হঠাৎ করে এমন কাজ করার কথা মাথায় এলো কিভাবে? জিজ্ঞাসা করেন সৌরভ। মন্দ্রিতা জানান, “আমি তখন ক্লাস ৪ এ পড়ি। বাবার সঙ্গে বসে খবর দেখছিলাম। যখন একটা খবরে চোখ আটকায়। বহু মেয়েরা স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে।
View this post on Instagram
কারণ জানতে চাওয়ায় বাবা বলে যে ওদের স্কুলে মেয়েদের জন্য ভালো বাথরুম নেই, তাদের বাথরুম যেতে অসুবিধা হয় তাই। এটা শুনে আমি বলি আমরা কিছু করতে পারি না ওদের জন্য? তখন বাবাই আমায় বলেছিলেন যে তোর টাকা হলে ওদের জন্য বাথরুম বানিয়ে দিস। কথাটা আমার মনে গেঁথে যায়। সেই থেকে হাত খরচ জমিয়ে জমিয়ে বাথরুম বানানো শুরু করি।”
মন্দ্রিতা জানান, এখনো পর্যন্ত দশটি বিদ্যালয়ে তিনি এই ভাবেই বাথরুম তৈরি করেছেন। পাশাপাশি মহিলাদের পিরিয়ডস, স্বাস্থ্যের বিষয়ে কাজ করে থাকেন তিনি। ভারতের স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মুখ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে মন্দ্রিতাকে। মন্দ্রিতার এমন উদ্যোগে খুবই খুশি হয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেন, “দূর্দান্ত”।
আরও পড়ুন : “আমায় যত ইচ্ছা চুমু খাও,তবে…”, মঞ্চে অশালীন মন্তব্য টেলি অভিনেত্রী সৌমীর
এদিন তিনি আরও জানান যে এখনও পর্যন্ত তিনি ১০টি স্কুলে এভাবে বাথরুম বানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এখন মহিলাদের পিরিয়ডস, স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয় নিয়েও কাজ করে থাকেন। তাঁকে ভারতের স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মুখ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান। মন্দ্রিতার এই কাজে মুগ্ধ হয়ে যান সৌরভ। তাঁর তারিফ করে বলেন, ‘দুর্দান্ত।’