টলিউডে নজির গড়লেন মনামী ঘোষ! টলিউডে প্রথম মনামী, মিরর ওয়ার্ক পোশাকের সঙ্গে ১০ মিটার লম্বা ট্রেইল, ঝড় তুললেন মনামী ঘোষ
বাংলা টেলিফিল্ম জগতে সুন্দরী অভিনেত্রী দের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছেন অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। তার রূপের ছটায় চারিদিক আলোকিত করে রাখেন তিনি। বহু পুরুষ নেটিজেনদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন তিনি। নিজের রূপের জাদুতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন ফটোশুটের মাধ্যমেই নিজের ছবি পোস্ট করেন তিনি। তার ফ্যাশন সেন্স অত্যন্ত ভালো। তাইতো যেকোনো পোশাকেই তিনি সহজে নিজেকে মানিয়ে তুলতে পারেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ফ্যাশনিস্তার খেতাব পেয়েছেন। বয়স চল্লিশ ছুঁই ছুঁই কিন্তু এখনও তিনি ব্যাচেলার এবং নিজেকে সবসময় ফিট এবং মেনটেন করে রাখেন। তিনি বহু মেয়ের ফ্যাশন আইকন তিনি। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে তার ফ্যাশন নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল।
ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে তিনি মিরর ওয়ার্ক করা একটি দারুন সুন্দর ড্রেস পড়ে এসেছিলেন। তার ফ্যাশন ডিজাইনার নীল সাহার ডিজাইন করা এই পোশাকটি পুরোটাই মিরর দিয়ে তৈরি। ডিজাইনে রুপোলি রঙের বডি হাগিং মিরর ড্রেসের ১০ মিটার লম্বা ট্রেইল দেখে সহজেই মনে হতে পারে এটি বিদেশের মেটা গালার ফ্যাশন শো। ঐদিন নিজেকে এই সাজে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সকলের সামনে হাজির করেছিলেন মনামী এবং তার এই রূপ দেখে অবাক হয়েছেন হাজারো নেটিজেন।
মনামী ফ্যাশন ডিজাইনার জানিয়েছেন এই ড্রেসটি তৈরি করতে মোট ৮ মাস সময় লেগেছে, এছাড়াও ড্রেসের পেছনে যে লম্বা সাদা টেইল রয়েছে সেটা বানিয়েছেন দেবজ্যোতি গোস্বামী। কলকাতার অভিনেত্রী দের মধ্যে প্রথম কোন অভিনেত্রী এই ধরনের পোশাক পরলেন যার ফলে দর্শকের নজর পুরোপুরি পড়েছে মনামির উপর এবং তার দুর্দান্ত এই লোকটির প্রত্যেক পুরুষ নারীর নজর কেড়েছে। তার এই লুকের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল। তবে নতুন নয় এর আগে তার বহু ছবি মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাকে নিত্যনতুন লুকে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। দর্শকের সামনে তিনি নিজের বিভিন্ন ছবি নিয়ে হাজির হন এমনকি সাহসী লুকে নজর কাড়েন অভিনেত্রী যার জন্য মাঝেমধ্যে শিরোনামে চলে আসেন।
শীঘ্রই টলিউডের বড়পর্দায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিনী রায়ের সঙ্গে ‘বেলাশুরু’ ছবিতে দেখা যাবে তাকে। আগামী ২০ শে মে ছবিটি মুক্তি পাবে ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ‘বেলা শেষে’ ছবির সিক্যুয়েল। দর্শক বহুদিন ধরেই এই ছবির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।