বাংলা সিরিয়াল

মেঘ নীলের বিয়েতে রাজি মধুমিতা! ঠাম্মির প্ল্যানে না জেনেই এক হবে মেঘ নীল?

জি বাংলা ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকে নীলের ঠাম্মি এমন একজন মানুষ, যিনি মুখে না বলতেই অনেক কথা বুঝে যান। এই মুহূর্তে তিনি বুঝতে পেরেছেন, একে অপরের সঙ্গে চিরদিনের জন্য আলাদা হয়ে গেলেও মনের কথাটা কোনদিন প্রকাশ করতে পারবেনা মেঘ কিংবা নীল।

তাই আর উপায় না দেখে, নিজেই প্ল্যান করে ফেলেছেন, মেঘ আর নীল আর মেঘকে আবারও এক সুতোয় বেঁধে দেবেন তিনি। ঠিক সেই কারণেই বাড়ির সকলের সঙ্গে বুদ্ধি খাটিয়ে মেঘের মা আর বাবাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

ডিভোর্স হয়ে গেলেও মেঘ আর নীল একের অপরকে ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু সেই কথা প্রকাশ করতে পারছে না তারা। তাই এবার দুজনেই বিয়ে দেওয়ার জন্য মেঘের মা আর বাবাকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে পাঠালেন ঠাম্মি।

অবশ্য ঠাম্মির মুখে মেঘ আর নিজের বিয়ের কথা শুনে প্রথমেই না করে দেন মেঘের বাবা। যদিও মেঘের মা মেয়ের মনের কথা বুঝতে পেরেছেন। তাই অনিন্দ্যর পরিবর্তে মধুমিতা কথা বলুক চাইছেন ঠাম্মি।

আরও পড়ুন : “ঠোঁটে কী পিঁপড়ে কামড়েছে?” ট্রোল্ড হলেন “মা” সিরিয়ালের ঝিলিক!

ঠাম্মি অনিন্দ্যকে বলেন, “মধুমিতার কথাও তুমি বলবে মেঘের হয়েও তুমি বলবে এত পুরুষতান্ত্রিক হলে কিভাবে চলবে?” মেঘের মা পুরো বিষয়টা কিভাবে হবে জানতে চাইলে ঠাম্মি জানান, শুভদৃষ্টি আগে পর্যন্ত ওরা কেউ জানবে না যে দুজনের বিয়ে হচ্ছে। আগে থেকে সবটা জেনে গেলে ওরা না করে দিলে সব ভেস্তে যাবে। কিন্তু যখন ওরা একে অপরকে ছাদনাতলায় দেখবে তখন ওদের থেকে খুশি কেউ হবে না, বাজি ধরেন ঠাম্মি।

অনিন্দ্য জানিয়ে দেন মেয়ের বিয়ে নিয়ে তিনি ছেলে খেলা করতে পারবেন না। ঠাম্মি বলেন, “এর আগে বিয়ে নিয়ে নাটক তো তুমি কম করোনি অনিন্দ্য। যখন তোমায় নীল দাদাভাই এসে বলেছিল সে ময়ূরী নয়, মেঘকে বিয়ে করতে চায়, কই তখন তো তুমি বাধা দাওনি? তখন তো একবারও বলোনি, তুমি এমন ছেলে খেলা করতে পারবে না।

তখন তুমি রাজি হয়ে গিয়েছিলে কারণ কোথাও গিয়ে তোমার মনে হয়েছিল যে মেঘ নীলর সাথে ভালো থাকবে।” এরপর সবটা মধুমিতার ওপর ছেড়ে দিয়ে চুপ হয়ে যান মেঘের বাবা।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh