অনুরাগের ছোঁয়া’কে দশ গোল “সন্ধ্যাতারার”! বিরাট চমক অপেক্ষা করছে দর্শকদের জন্য
জি বাংলা আর স্টার জলসার মধ্যে ক্রমাগত লড়াই চলতেই থাকে, নিজেদের চ্যানেলে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান গুলি সম্পর্কে। তবে শুধুই যে দুটি চ্যানেলের মধ্যে রেষারেষি চলতে থাকে, এমনটাই নয়।
কোন একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের ধারাবাহিক গুলির মধ্যেও চলে দারুন প্রতিযোগিতা। এরই মাঝে এলো বড় খবর। অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিককে পেছনে ফেলে একেবারে এগিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যাতারা। না, টিআরপি তালিকায় নয়। তাহলে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এই ধারাবাহিক?
আসলে, অনুরাগের ছোঁয়া’র দীপার শাশুড়ি লাবণ্য সেনগুপ্তকে, একজন ভালো শাশুড়ি মা হিসেবে হারিয়ে দিয়েছেন সন্ধ্যাতারা’র বিজয়া মাঠান। সন্ধ্যা তারা সাম্প্রতিক এপিসোড গুলো তারই প্রমাণ।
বাড়ির বউ হিসেবে সন্ধ্যাকে একেবারে নিজের মেয়ের মতো আগলে রাখেন বিজয়া মাঠান। যাই হয়ে যাক না কেন, সন্ধ্যার গায়ে তিনি কোন কিছুরই আঁচ লাগতে দেন না। সম্প্রতি কাছাকাছি এসেছে আকাশনীল আর সন্ধ্যা। তারপরেই বিপত্তি।
View this post on Instagram
এতদিনে জানাজানি হয়ে গিয়েছে যে আকাশনীলের ভালোবাসা ছিল তারা। এরই মাঝে তারার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। সন্ধ্যার বোন তারার গর্ভে রয়েছে তার জামাইবাবুর সন্তান। বোনকে খুবই ভালোবাসে সন্ধ্যা। এদিকে দিদির জন্য নিজের ভালোবাসাকে তার হাতে তুলে দিয়েছে তারা। কিন্তু ভাগ্যের দোষে তারা তার দিদির সংসার ভাঙার জন্য দায়ী হতে চলেছে
বিয়ের আগের ঘটনা। আকাশনীলের উপরে গুন্ডারা হামলা করলে তারা তাকে বাঁচায়। সেদিন একে অপরের কাছাকাছি আসার কারণে এখন তিন মাসের গর্ভবতী তারা। তাতেই রেগে আগুন বিজয়া বিজয়া মাঠান।
মুখের উপর তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ধ্যা ছাড়া আর কারো সন্তানকে তিনি নিজের নাতনি হিসেবে মানবেন না। এরপরেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : দাদাগিরির মঞ্চে কুমার শানুর হামসকল! দেখেই হতবম্ভ দাদা
দর্শকরা এবার অনুরাগের ছোঁয়ার লাবণ্যর সঙ্গে বিজয়া মাঠানের তুলনা করতে শুরু করেছেন। লাবণ্যর চেয়ে অনেক গুণে ভালো বিজয়া। মিশকার ষড়যন্ত্র করে স্পার্ম চুরি করে গর্ভবতী হওয়া এবং সন্তান জন্মের পর তাকে সেনগুপ্ত বাড়িতে রাখা হলেও, দীপার জায়গা হয়েছে বাপের বাড়িতে। সেদিক থেকে নিজের ছেলের সন্তান হলেও তারার সন্তানকে উত্তরাধিকারী হিসেবে মেনে নেবেন না বিজয়া।
তিনি চান, তার বৌমার গর্ভের সন্তান কাঞ্জিলাল বাড়ির উত্তরাধিকারী হোক। সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।