পরকীয়া, ত্রিকোণ প্রেমের পর এবার গুড্ডি ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে খু;নোখু;নির গল্প, খুব ভালো ছক কষে নিয়ে গুড্ডিকে মারতে উদ্যত হল শিরিন
স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’, টিআরপি তালিকায় সেরা দশের ধারেকাছেও নেই এই ধারাবাহিক। মাত্র ৩.১ নাম্বার অর্জন করে রয়েছে উনিশ নম্বর স্থানে। আর তা হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। ধারাবাহিক শুরুর পর থেকেই তেমন পছন্দ হয়নি তা দর্শকদের, বরং শুরু থেকেই বিরক্ত হয়েছেন দর্শক। অন্যান্য ধারাবাহিকে গল্পের যে ফ্লো বা ধারা থাকে তা খুঁজেই পাননি দর্শকরা ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকে।
প্রথম থেকেই দেখানো হয়েছে গুড্ডি, অনুজ আর শিরিনের ত্রিকোণ প্রেমের গল্প। তারপরে আসে পরকীয়া। গুড্ডিকে ডিভোর্স দিয়েও সে এখনো ভুলতে পারেনি তাকে। যদি ভুলতে নাইবা পেরে থাকেন তবে দ্বিতীয়বার শিরিনকে বিয়ে করার কোনো মানে হয় না যদি অনুজ শিরিনকে তার যোগ্য সম্মান না দিতে পারে। দর্শকরা সেখানেই চটেছিলেন। তবে এখন গল্পে এসছে নতুন এক চরিত্র, যুধাজিৎ, যার সাথে পরে বিয়েও হয় গুড্ডির।
তবে শিরিন এখনো গুড্ডিকে তার শত্রু হিসেবেই দেখে তাই যতক্ষণ না সে গুড্ডিকে তার আর অনুজের পথ থেকে সড়াতে পারছে ততদিন শিরিন চুপ করে বসবে না। গুড্ডি হসপিটালে ভর্তি থাকায় তাকে দেখতে আসে শিরিন এবং অনুজ। অনুজ জানে শিরিনের গুড্ডিকে একটুও পছন্দ নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও সে গুড্ডিকে শিরিনের কাছে একা ছেড়ে কেন গেলেন? প্রশ্ন করেন অবশিষ্ট দর্শকেরা।।
এই সুযোগেই শিরিন তার কাজ সেড়ে ফেলে, গুড্ডিকে এক বিষাক্ত ওষুধ খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করে সে, ফলের রসের সঙ্গে বিষাক্ত সেই ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় গুড্ডিকে। হঠাৎ করে কষ্ট শুরু হয় গুড্ডির, মুখ থেকে সাদা গ্যাজা বের হতে শুরু করে। সবাই থেকে অনুমান করে গুড্ডি হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছে। দর্শকরা তাই সরাসরি ধারাবাহিকের লেখিকাকেই বলেন, এমন খুন করার (Attemptd to Murder) এর শাস্তি হিসেবে যেন শিরিন যথোপযুক্ত শান্তি পায়, নচেত এই সমস্ত আজগুবি গল্পের সিরিয়াল দেখিয়ে লাভ নেই।
হসপিটালে নার্সের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন দর্শক, তারা বলেন একজন ভিজিটরের কথায় ওমন বিষাক্ত ওষুধ কেউ কি করে রেখে যেতে পারে, আর ওমন ওষুধ রুমের মধ্যে থাকবেই বা কেন? এককথায় খুব সাধারণ ধারার এক ধারাবাহিক গুড্ডি নিয়ে খুব হতাশ দর্শকমহল।