‘খড়কুটোর জেরক্স কপি মিঠাইকে যারা ইউনিক বলে তাদের লজ্জায় দশ বার ম;রে যাওয়া উচিত!’ মিঠাই কেন ইউনিক নয় সেই নিয়ে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট দিলেন!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করার কোন জায়গায় নেই কারণ এই ধারাবাহিক ৫৬ বারের বেশিবার বঙ্গ সেরা হয়েছে। এই ধারাবাহিক প্রচুর মানুষ ভালোবাসেন এবং ছোট থেকে বড় সকলেই এই ধারাবাহিক দেখেন। প্রচুর মানুষের হাসির খোরাক এবং বেঁচে থাকার রসদ এই ধারাবাহিক। আসলে এই ধারাবাহিকের মধ্যে একটা প্রাণোচ্ছল পরিবারের গল্প আছে একটা যৌথ পরিবারের গল্প আছে, একটা দুষ্টু মিষ্টি স্বামী স্ত্রীর রসায়ন আছে যা অন্যান্য ধারাবাহিকের মধ্যে খুব একটা চোখে পড়ে না তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ধারাবাহিক অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে বেশ আলাদা।
ভক্তদের একাংশের মানুষ মনে করেন এই ধারাবাহিক বেশ ইউনিক অন্যান্য ধারাবাহিকের তুলনায়। অন্যান্য ধারাবাহিকে যেখানে একটি ট্রাক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখানো হয়,সেখানে মিঠাই ধারাবাহিকে খুব দ্রুত ট্রাকের পরিবর্তন হয়। এই ধারাবাহিকে এক স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর টানাটানি নেই, নেই কোন পরকীয়ার গল্প, বোনে বোনে ঝগড়া, হিংসা ও রেষারেষি ও
দেখানো হয় না এই ধারাবাহিকে। তাই বেশিরভাগ মানুষ এই ধারাবাহিকটিকে একটি ইউনিক কনসেপ্টের ধারাবাহিক হিসেবে দাবি করেন।
তবে মিঠাই ধারাবাহিকের বিরোধী পক্ষের বক্তব্য এই ধারাবাহিক মোটেই ইউনিক নয়, কেন এই ধারাবাহিক ইউনিক নয় তা নিয়ে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন,একজন ভক্ত লিখেছেন,“মিঠাই কেন ইউনিক নয়???
অনলাইনে শক্ত একটা ধারণা মিঠাই সবচেয়ে ইউনিক শো।কারণ মিঠাই এ কোন ভিলেন নেই,নেগেটিভিটি নেই,কুটকাচালি নেই,ত্রিকোণ প্রেম নেই,পরকীয়া নেই।বাট আমি তো মনে করি সব কিছুই ছিল। এত কথা বলার দরকার নেই।ইউনিক মানে হল নিজস্বতা,স্বতন্ত্রতা,যার সাথে বাকিদের মিল নেই।
মিঠাই নিজেই স্টারের খড়কুটোর জেরক্স কপি।সুখে দুঃখে একসাথে আর সুখে দুখে মিষ্টি মুখে এই লাইনটাও কপি করতে ছাড়েনি।যার স্টোরি জোরাতালি দিয়ে তৈরি হয়েছে সে ইউনিক তো দূরের কথা একটা জোরাতালি দেওয়া খেতার কাতারেও পড়েনা।
তাই যারা মিঠাইকে ইউনিক বলে তাদের লজ্জায় দশ বার মরে যাওয়া উচিত।”