‘একটা এপিসোডেই গুলি লাগা থেকে অপারেশন সব দেখালো,অন্য ধারাবাহিক হলে এই নিয়েই এক সপ্তাহ চলত’! কেন বারবার মিঠাই বঙ্গ সেরা তাই উল্লেখ করছেন নেটিজেনরা
দীর্ঘদিন নিজের বঙ্গসরার আসন হারিয়ে ফেলার পর আবার নিজের পুরনো জায়গা অধিকার করতে চলে এসেছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বঙ্গ সেরা হওয়া এই ধারাবাহিক একটা সময় গাঁটছড়া ,ধুলোকণা,লক্ষীকাকিমা সুপারস্টারের কাছে হেরে যাচ্ছিলো! কিন্তু কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই নিজের হারানো সাম্রাজ্য আবার উদ্ধার করল মিঠাই। টি আর পি তে ৮.৫ পয়েন্ট পেয়ে আবারও বঙ্গসেরার আস অধিকার করল সে।
গত সপ্তাহে রুদ্র আর নিপার বিয়ের ট্র্যাক দেখানো হয়েছিল সেই ট্র্যাকেই হারানো আসন উদ্ধার হলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকের বারংবার বঙ্গ সেরা হওয়ার পিছনে একটা অন্য স্ট্র্যাটেজি কাজ করছে যা অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন। বহুবার দেখানো হয়েছে একটার পর একটা এপিসোড কত স্পিডে শেষ করা হয়। এই যেমন রুদ্র নিপার বিয়ের ট্র্যাক দুদিনের মধ্যে শেষ, তারপর দুদিনের মধ্যে মিটে গেল তাদের রিসেপশন তবে এই প্রথমবার নয় এর আগেও সিদ্ধার্থ মিঠাই ডিভোর্সের সময় দেখানো হয়েছিল যে কোর্টের চত্বরের ঐ এপিসোড কত দ্রুত শেষ করা হয়েছে। যেটা অন্য কোন ধারাবাহিক হলে এক মাস ধরে চলত আসলে এটাই এই ধারাবাহিকের স্ট্যাটেজি।
ঠিক যেমন গত দিনের পর্ব রুদ্র নিপা রিসেপশন মিঠাইয়ের গুলি লাগা, সিদ্ধার্থ মিঠাই কে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, মিঠাইয়ের গুলি লাগাতে সিদ্ধার্থ এবং মোদক পরিবারের সবার মানসিক অবস্থা এবং মিঠাইয়ের অপারেশন কমপ্লিট হয়ে গেলো একইসাথে মিঠাইয়ের অবস্থা বর্তমানে কী আছে তাও জানা গেলো মাত্র একটা এপিসোড এর মধ্যেই যেটা একমাত্র মিঠাই বলেই সম্ভব অন্য কোন ধারাবাহিক হলে এই গুলি লাগার পর্ব আর হাসপাতালে ভর্তি ও অপারেশন দেখাতেই সাত দিন লাগিয়ে দিত। তারপর অপারেশন ও অপারেশনের ফলাফল কী হয় সেটা জানানোর জন্য আরও একদিন তুলে রাখতো, কিন্তু মিঠাই তো এটা হয় না বলেই মিঠাই সবার এর থেকে আলাদা।
আবার মিঠাইয়ের গুলি লাগার সময় আকাশ থেকে ধুম তানানা মিউজিক বা বাড়ির সবারই সাদা কালো মুখ দেখানো হয়নি খুব ন্যাচারাল ভাবে পুরো বিষয়টা প্রেজেন্ট করা হয়েছে, এটিও সকলের খুব ভালো লেগেছে। একজন নেটিজেন তো লিখেই দিয়েছেন,“মাত্র একটা এপিসোড গুলি লাগা থেকে শুরু করে অপারেশন সব দেখিয়ে দিল। ভাবতেই পারছি না।এই একটা এপিসোড ইচ্ছে করলে ৭ দিন যাবত দেখানো যেত। ঠিক এই কারণেই মিঠাই এত বেশি পছন্দ।সব কিছুর মাঝে ভালোবাসা কেনো এত অসহায় গানটা জোশ লাগছে”