বছর বছর জি বাংলায় একি থোর বোরি দুর্গার কোনো ছিমছাম লুক দিতে পারেনা ওরা খালি আকাশে কাপড় মেলে দেয়। কি মজা পায় কে জানে!
মহালয়া হলো বাঙালির আবেগ, একটা নস্টালজিয়া। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর ৭ দিন আগে মহালয়া আসে আর মহালয়া এসে জানান দেয় দেবী আসার আর বেশি দেরি নেই। দেবী পক্ষের সূচনাতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া আজও বাঙালির আবেগ কিন্তু সময় এগিয়েছে, বেড়েছে প্রতিযোগিতা।
এখন চ্যানেলে চ্যানেলে মহালয়া হয়, জি বাংলা, কালার্স বাংলা থেকে শুরু করে স্টার জলসার মতো জনপ্রিয় চ্যানেল গুলিতে দেবীরূপে নিত্য নতুন নায়িকাকে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু দর্শকদের মধ্যে অনেকেই বলেন সেই আবেগ আর পাওয়া যায় না।
কারণ দেবীর সার্বভৌমত্ব ও দেবীর প্রকাশ ক্ষমতা কে বোঝানোর জন্য দেবীর পাশে যে লাল কাপড় ওড়ানো হয় ও দেবীর ঐশ্বর্য কে বোঝানোর জন্য দেবীকে যেভাবে মাথা থেকে পা অবধি গহনার ভারে সাজিয়ে দেওয়া হয় তা দেখতে দেখতে দর্শক ছিমছাম লুক খুঁজছেন।
গ্রাফিক্স উন্নত করা মহালয়া নয় দর্শক চাইছেন সাদা কালো টিভির যুগের সেই সাদামাটা মহালয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“বছর বছর জি বাংলায় একি থোর বোরি দুর্গার কোনো ছিমছাম লুক দিতে পারেনা ওরা খালি আকাশে কাপড় মেলে দেয়।
কি মজা পায় কে জানে। আর দু মিনিট পর পর হাস্যকর দেখতে অসুর গুলো এসে দাপাদাপি শুরু করে। গত ছয় সাত বছর ধরে তাই চলে আসছে। তাও ২০১৮, ২০১৯, ২০২১ আর ২০২২ এর অনুশঠান গুলো ভালো ছিল দেখার মত ছিল। ২০২৩ এ তারপর যা করেছে উফফ মার্ভেল স্টুডিওস লেভেলে করতে গিয়ে পাতি দোকানের মার্বেল বানিয়ে ফেলেছে। ”
বাঙালি সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে ওই দর্শক আরো বলেছেন যে,“জি বাংলা কে বলছি লজ্জা থাকলে এবার এগুলো চেঞ্জ করবেন। অবশ্য আপনাদের তো লজ্জা নেই নয়তো প্রতি বছর দর্শক এত কিছু বলা সত্ত্বেও আপনারা নিজেদের চেঞ্জ করেন না এত্ত জেদ আপানাদের।
জানিনা এসব হাস্যকর জিনিসগুলো কার মাথা থেকে বেরোয় তার মাথায় কি ভূত আছে কে জানে। কি দেখে তার মনেহয় এগুলো ভালো। জি বাংলা কে বলছি আপনাদের মহালয়া বাচাতে চাইলে তাদেরকে মহালয়া থেকে বাদ দিন। আর একটা সুস্থ মহালয়া বানান পারলে। দেখবেন টিয়ারপির অভাব হবেনা। আগেরবার তপ টিয়ারপি তে ডাব্বা খেলেন। এবার একটু শিক্ষা নিন।”