শার্ক ট্যাংক ইন্ডিয়া সিজন ২ এর এক পর্বে হলো ধুন্ধুমার কান্ড! পীযূষ কেন অনুপমকে বললেন ‘বোকার মতো কথা বলো না..’?
সম্প্রতি শার্ক ট্যাংক ইন্ডিয়া সিজন ২-এর একটি পর্বে প্রথমেই দেখতে পাওয়া গেল জামশেদপুরের বিনীত সারাইওয়ালাকে। তিনি পেশায় এটিপিক্যাল অ্যাডভান্টেজের প্রতিষ্ঠাতা। তবে জনৈক ব্যক্তির চোখের সমস্যা রয়েছে। চোখে দেখতে পান না তিনি। এই দিন তিনি শার্কদের সামনে একটি তথ্য তুলে ধরেন যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের বেকারত্বের হার কতটা।
তিনি মনে করেন বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদেরও সমান অধিকার রয়েছে চাকরি করার। তিনি জানিয়েছেন করোনা পরিস্থিতিতে তিনি বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের কাছ থেকে এত বেশি চিঠি ইত্যাদি পেয়েছেন যে তিনি নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এটা শুরু করেছেন। তাঁর এই প্লাটফর্মে জন্য ১০০০ জনের শৈল্পিক কাজ, ৫০০ জনের বেশি শিল্পী সহ একাধিক ব্যক্তি যুক্ত আছেন।
তিনি সার্কদের ৩০ লাখ টাকার কথা বলেন ১ শতাংশ ইকুইটিতে। তা শুনে অমন, অনুপম এবং নমিতা তাঁকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তা ৪ শতাংশ ইকুইটিতে। এই আলোচনা শুনে পীযূষ বিনীতকে বলেন তাঁর বোনও বিশেষভাবে একজন সক্ষম ব্যক্তি। পেশায় একজন সিএ। তিনি বিনীতকে ১ কোটি টাকা অফার করেন তবে ১২ শতাংশ সুদে।
এই কথা শুনে বিনীত পীযূষকে উল্টে অফার করে বলেন তাঁকে ৯০ লাখ দিতে এবং বাকিটা বাকি শার্কদের মধ্যে ভাগ করে দিতে। এই কথা শুনে পীযূষ খুবই বিরক্ত বোধ করেন। তখন অনুপম পিনীত কে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি বিভিন্ন ধরনের শিল্পের এক্সপার্ট। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিনীত বলেন দুজন শার্ক ৪৫ লাখ করে দিক আর দুজন ১৫ করে। তিনি চান সকলে মিলে যেন তাঁকে সব দিক থেকে সাহায্য করেন।
এরপরেই পীযূষ বলে ওঠেন তিনি একাই এই কাজের জন্য ১ কোটি টাকা দিতে রাজি তবে ১০ শতাংশ ইকুইটির ভিত্তিতে। পীযুষ চান না যে অন্য কোন শার্কেরা এই ডিলের অংশ হোক। এই কথা শুনেই রেগে যান অনুপম এবং দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে।
অনুপম আর পীযুষের ঝামেলা এতটাই বেড়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত তাঁরা ডিল থেকে দুজনেই বেরিয়ে যান। এরপরে অমন এবং নমিতার দেওয়া ডিল মেনে নেন বিনীত। ওদের থেকে বিনীত ৩০ লাখ টাকা নেন ৩ শতাংশ ইকুইটিতে। এরপর বিনীত চলে গেলে অনুপম পীযূষকে খুব মুখ করতে থাকে। এমনকি তাঁকে বলেন ‘বোকার মতো কথা বলো না’। এরপরে পীযূষ চুপ করে যান।
এরপর এই দিনই আবার আকৃতি এবং পুনম রাওয়াল পিচ করেন শার্ট ট্যাংকে। তাঁদের চিকেন কারীর বিজনেসের জন্য। মা মেয়ের যৌথ উদ্যোগের শুরু এই ব্যবসার সমস্তটাই তাঁরা জানান শার্কদের। তাঁরা ৭৫ লাখ টাকা চান ১ শতাংশ ইকুইটিতে। শার্করা তাঁদের বিভিন্ন ধরনের অফার দিতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত তাঁরা রাজি হন অমন এবং পীযুষের অফারে। তাঁরা ৭৫ লাখ টাকা দেবেন তবে ৩.৭৫ শতাংশই ইকুইটিতে। আকৃতি এবং পুনম চলে যাওয়ার পর অমন হেসে গড়াগড়ি খেয়েছেন। তাঁরা বলছেন তাঁরা কখনো ভাবেননি যে তাঁরা কখনো এমন কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন। এই সময় নমিতা তাঁদের উৎসাহ দিয়ে বলেন যে তাঁরা দুজন মহিলার ব্যবসাতে সাহায্য করছেন।