বিজেপি এবং NCB-র মিলিত চক্রান্তেই ফাঁসানো হচ্ছে আরিয়ান খান কে, চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর কাছ থেকে
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চর্চার শিরোনামে রয়েছে শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। গত শনিবার মাদক সেবনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয় একটি প্রমোদতরী থেকে। তারপর থেকে উঠে আসে নানান ধরনের ঘটনা সেই ঘটনাকে ঘিরে চলছে তদন্ত। ঐদিন মাদকচক্র কাণ্ডে আরিয়ান খান সহ আরো দশ জনকে গ্রেফতার করে এনসিবি পুলিশ। ওইদিন সাথে ছিল আরিয়ানের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মুনমুন ধামেছা নামক একজন বলিউড মডেল।
বলিউড সিনেমা গুলিতে আমরা দেখতে পেয়ে থাকি নায়ক এর সঙ্গে ভিলেনের শত্রুতা অনেক সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও সেই সমস্ত নায়কদের ঝামেলা হয়ে থাকে। এই ঘটনায় যে বাস্তবে রূপ পাবে তা কেউ কখনো আশা করেনি, তাও আবার বলিউডের কিং খানের পুত্র আরিয়ান খান। আরিয়ান খান কে রাজনৈতিক মহল থেকেই ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের সহযোগী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক। গত বছর থেকেই মাদক চক্রে জড়িত বিভিন্ন বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা, তবে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকে কাউকে গরাদে পড়তে পারেনি এন সি বি। যে কারণে অনেকের নাম সামনে এসো গোপনে থেকে যায়।
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের সহযোগী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক শাহরুখ খান ফটো আরিয়ান খান এর স্বপক্ষে রয়েছে। তিনি বলেছেন বিজেপি এবং এনসিবি মধ্যে যথেষ্ট ভাল যোগসূত্র রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই হয়তো আরিয়ানকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলতে চাইছেন বিজেপি ইচ্ছে করে বলিউড এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে যোগসূত্র নষ্ট করতে চাইছে।
বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে আরিয়ান খান তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মুনমুন ধামেচা, আরবাজ মার্চেন্ট সহ আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই তাদেরকে ফরেনসিক টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে থাকবেন তারা। প্রথমে পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করলেও শেষে গিয়ে তদন্তের খাতিরে আরিয়ান খান স্বীকার করে নেন যে তিনি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য সেবন করেন। এমনকি গত চার বছর ধরে তিনি আমেরিকার দুবাই সব জায়গাতেই মাদক সেবন করে এসেছেন।