এত টাকার লোভ যে দুধের শিশুদের মৃত্যুর পথে পাঠাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন! হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো অভিনেতাকে, এই বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর জন্য হতে পারে ৭ বছরের জেল
বিনোদন দুনিয়ার তারকারা প্রায়শ হয়ে এমন কিছু কিছু বিজ্ঞাপনে নিজেদের অংশ করে ফেলেন যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। কিন্তু সেই সমস্ত বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর বদলে তাদের পকেটে ঢুকে কাড়ি কাড়ি টাকা। কিছুটা সেই টাকার লোভেই তারকার কোন পণ্যের মানদণ্ড বিচার না করেই টিভির পর্দায় চলে আসেন।
এই তালিকাতে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bachchan) থেকে শাহরুখ খান ,সালমান খানের মতন বড় বড় তারকারা। তাদের কথায় বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষ এইসব জিনিস ব্যবহার করে ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়েছেন। যার কারণে বহুবার কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে তারকাদের।
বলিউড(Bollywood) শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন নিজের ক্যারিয়ারে বহুবার বিজ্ঞাপন বিতর্কে(Advertiesment Controversy) জড়িয়েছেন। কখনো তামাক জাতীয় পণ্যের প্রচারের জন্য সামাজিক শিকার হতে হয়েছে তাকে। আবার কখনো অন্য কোন জিনিস। এই নিয়ে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া(Social Media)তে কলম ধরেছিলেন অভিনেতা। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবার তেমনি বিতর্কে পা রাখলেন না জেনে।
শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক বিস্কুটের প্রচার করে বিপাকে পড়লেন অমিতাভ। কয়েকদিন আগে কৌন বানেগা ক্রোড়পতির সেট থেকে মিল্ক বিকিস বিস্কুটের(Milk Bikis Biscuit) প্রচার করেছিলেন তিনি। যেখানে তার মুখে বলতে শোনা গেছে এই বিস্কুটটি ময়দা এবং দুধের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রত্যেক মা যেন তাদের সন্তানদের এই বিস্কুট খাওয়ায়। এটি শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে উপকারী।
তারপরই নড়েচড়ে বসেছেন নিউট্রিশন অ্যাডভোকেসি ইন পাবলিক ইন্টারেস্ট ইন্ডিয়া। এই বিজ্ঞাপনটি তাদের নজরে আসতেই বাঁধে-বিপত্তি। তাদের দাবি মিল্ক বিকিস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে অনুমোদন পায়নি। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনরকম মানদন্ড মেনে এই বিস্কুট তৈরি করা হয়নি। ইতিমধ্যে আইনি চিঠি পৌঁছে গিয়েছে তার বাড়িতে। জানা গিয়েছে ২৮ ডিসেম্বর অমিতাভ এর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে তার বিপরীতে কোন উত্তর এখনো পর্যন্ত আসেনি।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন মিল্কবিকিসে অতিরিক্ত উচ্চ চিনি এবং সোডিয়াম ও উচ্চ চর্বি জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকারক। তাই বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসক প্রত্যেকেই অমিতাকে অনুরোধ করেছেন এমন বিস্কুটের প্রচার যেন না করেন তিনি। পাশাপাশি এডভারটাইসিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া সংশ্লিষ্ট বিস্কুট উৎপাদনকারী সংস্থাকে এই বিজ্ঞাপন বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।