সবটাই নকল! অক্ষয় কুমারের মাথাভর্তি চুল এর পেছনে রয়েছে বিশাল বড় টাক! কিভাবে নিজের টাক ঢেকে রাখেন অক্ষয় কুমার
গত মাসেই গুটকা কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ট্রোল হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার এবং তারপরেই নিজের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। কারণ অক্ষয় কুমারকে আমরা প্রত্যেকে স্বাস্থ্যসচেতন বলেই জানি তার এই ধরনের বিজ্ঞাপন কেউই মেনে নিতে পারেনি। যার ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল নেটিজেনরা। কিন্তু অক্ষয় কুমারের মাথাভর্তি চুল এর পেছনে রয়েছে টাক। প্যাডম্যান ছবির প্রচারের সময় নিজের টাক লুকিয়ে রাখেনি অক্ষয় কুমার। কারণ সব সময় তিনি নিজের আসল চেহারা নিয়েই দর্শকের সামনে আসতে পছন্দ করেন।
অনেকেরই ধারণা অক্ষয় কুমারের হেয়ার ফলিকল যথেষ্ট দুর্বল। যার কারণে তার বন্ড করা চুল ধরে রাখতে পারেনি। অক্ষয় কুমারের মতো সালমান খানের এই একই সমস্যা ছিল। কিন্তু সময় থাকতে থাকতেই সালমান খান নিজের হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেশন করিয়ে নিয়েছিলেন। অক্ষয় কুমারের ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে হেয়ার ট্রান্সপারেন্ট করার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ের চাপে সেটা আর করা হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে কেশারি ফিল্মের শুটিং এর সময় অক্ষয় কুমারকে মাথায় পাগড়ী পড়তে হয়েছিল যার কারণে গরম লাগার কথা ভেবে অক্ষয় কুমার মাথার চুল আরও কিছুটা কমিয়ে ফেলেন।
তবে নব্বই দশকে অক্ষয় কুমারের ছবি গুলি দেখলে এটা ভাবা অসম্ভব ছিল যে তার কখনো টাক পড়তে পারে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল সালমান খানের চুল পাতলা হয়ে আসছিল নায়কদের এই সমস্যার নতুন নয়। ছবির শুটিংয়ের সময় এবং ফটোশুটের সময়ে নায়কদের চুল অতিরিক্ত জেল দিয়ে সেট করা হতো এছাড়াও ল্যাকার এবং স্প্রে তো রয়েছেই। আর এইসবেরই বাজে ইফেক্ট পড়তে চুলে। আসলে সালমান এবং অক্ষয় কুমাররা যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিল তখন ইউনিসেক্স পার্লার ছিল না। যার ফলে রূপচর্চার থেকে তারা বেশিরভাগ সময়ই শরীরচর্চার দিকেই মন দিতেন।
আর শরীরচর্চার সময় অতিরিক্ত ঘাম চুলে জমে গিয়ে হেয়ার ফলিকলস কে দুর্বল করে দিত। যার ফলে বেশীরভাগ নায়কদের চুলের সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে নায়করা যথেষ্ট সচেতন তারা শরীরচর্চার পাশাপাশি নিজেদের রূপচর্চার থেকেও বেশ কড়া নজর রাখেন।