‘মাথায় হাত রেখেছিল ‘ভাইজান’ তাই পরপর কাজ পেয়েছি বলিউডে’, জন্মদিনে আসল সত্য বলে ফেললেন হিমেশ রেশমিয়া
হিমেশ রেশমিয়া, শুধু বলিউডের অন্যতম গায়কই নন, গায়ক এর পাশাপাশি অন্যতম সুরকার, অভিনেতা, প্রযোজক এবং এমনকি রিয়্যালিটি শো-এর বিচারকও তিনি। আজ ২৩ শে জুলাই হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে পৌঁছালেন বিখ্যাত গায়ক হিমেশ। আজ ৪৮ বছর বয়সে এসে পৌঁছালেন। তবে তার গলায় কিংবা অভিনয়ে বয়সের ছাপ পড়তে দেন না। কি সাবলীল তার গলা! কি সুমধুর!
আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে গায়ক এর পথ চলা শুরু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে বিখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের হাত ধরেই বলিউডে যাত্রা শুরু হয় তার। সেই ছবির নাম ছিল, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’। বক্স অফিসে সেই ছবি প্রচুর সফলতা অর্জন করলে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বলাবাহুল্য, শুধু টাইটেল ট্রাকই না, সেই সিনেমার বেশ কয়েকটি গানের দায়িত্বে ছিলেন হিমেশ। তারপর থেকেই বিখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের আরো অন্যান্য ছবিতে সুর দিয়েছেন এবং গান করেছেন বিখ্যাত এই সুরকার। যেসব ছবিতে তিনি গান বেঁধেছেন, সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলো- ‘তেরে নাম’, ‘মেনে পেয়ার কিউ কিয়া’,’মেনে পেয়ার কিয়া’,’বডিগার্ড’ ,’ কিক ‘। প্রত্যেকটি ছবি বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করেছিল।
আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বিখ্যাত গায়ক বলেছিলেন, “সালমান এবং তার পরিবারের দৌলত এ আজ আমার এই খ্যাতি। ওদের ক্রমাগত সাহায্য পেয়েছি বলে বলিউডে তেমনই কোনো স্ট্রাগল করতে হয় নি আমাকে। পরপর সব কাজের সুযোগ পেয়ে গেছি।”
সুরকারের আরো সংযোজন, “বলিউডের কোন ক্যাম্পের অংশ হলে কাজ পাওয়ার রাস্তা আরও সহজ হয়ে যায় অন্যদের তুলনায়। নামিদামি তারকাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই ভালো ভালো কাজের সুযোগ আসবেই। আমার থেকে অনেক বেশি প্রতিভাধর সুরকার এবং গায়ক রয়েছেন। কিন্তু আমি পরপর কাজ পেয়ে গেলাম! এর কারণ আমি বলিউডের একটি শক্তিশালী ক্যাম্পের অংশ ছিলাম।”
এক্ষেত্রে শুধু দলবাজি না একই সঙ্গে থাকতে হবে সেই ব্যক্তির যথেষ্ট গুনও। গুন না থাকলে যতই ভালো ভালো ক্যাম্পের অংশ হোন না কেন সেভাবে কাজ করবে না কিছুই। এক কথায় বলা যেতে পারে সবকিছু মাটি হয়ে যাবে।
সুরকার হিসেবে সাফল্য পাওয়ার পর আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছবিতে সুর দেয়ার পাশাপাশি তিনি গানটি গেয়েছিলেন। এই ছবি থেকেই হিমেশের গায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে। তবে ভালো সুরকার এবং গায়ক হলেও অভিনেতা হিসাবে খুব একটা পরিচিতি পাননি হিমেশ।