বলিউড

সুশান্তের মতো কঙ্গনা রানাওয়াতও চেয়েছিলেন আত্মহত্যা করতে, কিন্তু কেন?

তিনি বলিউডের এমন একজন অভিনেত্রী যিনি কোন বিষয়ে নিজের মতামতকে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে কখনোই পিছপা হন না। তিনি কখনোই কাউকে ভয় না পেয়ে স্পষ্ট করে নিজের ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে থাকেন। আর এর জন্য প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। অনেক সময় তাঁকে আবার ট্রোলের শিকারও হতে হয়। কিন্তু এ সবকে কখনোই পাত্তা দেন না তিনি। তবে এগুলোর পাশাপাশি তিনি কিন্তু একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী ও বটে।

তিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতার মধ্যে দিয়ে দর্শকদের অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে কঙ্গনা রানাওয়াত এবং জাভেদ আখতারের মধ্যে বিবাদ যেন আর থামার নামই নিচ্ছে না। বিগত তিন বছর ধরে দুজনের মধ্যে অভিযোগ পালটা অভিযোগ পর্ব চলছে। এমনকি তাঁদের মধ্যে এই বিবাদ পৌঁছেছে আদালতেও। তাঁদের মধ্যে এখনও যে আইনি লড়াই নিয়ে আলোচনা চলছে তার সকলেরই জানা।

আরও পড়ুন : “সাদাসিধে” নয়, ঠক জোচ্চোর ভুবন বাদ্যকর! বাদামকাকুর বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ আনলেন গোপাল ঘোষ নামক এক ব্যক্তি

আর এই মামলার জন্য মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন অভিনেত্রী। এই মামলায় ফের একবার আদালতে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী। আর আদালতে দাঁড়িয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত নিজের আত্মহত্যা সম্পর্কে যা বললেন তা শুনে চমকে উঠবেন আপনি। আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বয়ান দেওয়ার সময় অভিনেত্রী বলেন, “বলিউডে বহিরাগতদের উৎপিরণ করা হয়। তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

আমিও এর মুখোমুখি হয়েছি এবং হয়রানির অভিযোগ করেছি। যখন সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছিলেন, তখন আমিও এটা ভেবেছিলাম, কারণ সুশান্তের আত্মহত্যা আমার ওপর বড় প্রভাব ফেলেছিল।” অভিনেত্রীর কথায়, ২০১৬ সালে যখন তিনি ও ঋত্বিক রোশন বিতর্কিত জায়গায় ছিলেন তখন জাভেদ আখতার তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও অভিনেত্রীর‌ তোলা এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জাভেদ আখতার।

কঙ্গনা রানাওয়াত এ প্রসঙ্গে বলেছেন, জাভেদ আখতারের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে অভিনেত্রী বলেছেন যে তিনি সাধারণ মানুষকে জানাতে চেয়েছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের কথা। তিনি জানাতে চেয়েছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে বাইরের মানুষদের সঙ্গে আচরণ করা হয়ে থাকে। অভিনেত্রী বলেন, এটা তাঁর স্বভাব নয় যে যারা তাঁকে টার্গেট করবে তাদেরকেও তিনি টার্গেট করবেন বা তাঁর টার্গেট করা উচিত।

প্রসঙ্গত, বিষয়টা শুরু হয় ২০২০ সালে। ২০২০ সালে ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানের কঙ্গনা জানিয়েছিলেন যে, জাভেদ আখতার তাঁকে বলেছিলেন, তিনি যদি হৃতিকের কাছে ক্ষমা না চান তবে রোশানরা তাঁকে জেলে পাঠাবে তখন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে তাঁর সহ অভিনেতা হৃতিক রোশনের অনেক বড় ঝামেলা হয়েছিল প্রেম-সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। ঝগড়া এমন পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, সেখান থেকে তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতা। ফাঁস হয়েছিল কিছু ব্যক্তিগত চ্যাটিংও।

আরও পড়ুন : “ব্রেন ইজ দ্য নিউ সেক্সি”, কেমন প্রেমিক পছন্দ? নিজেই জানালেন তোমাদের রাণীর দেবযানী মধুপ্রিয়া!

ঠিক সেই সময়েই ডা. রমেশ আগরওয়ালের পরামর্শে কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিজের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জাভেদ।অভিনেত্রীর দাবি সেইসময় জাভেদ তাঁকে এবং তার দিদি রঙ্গোলি চন্দেলকে বিদ্বেষমূলক উদ্দেশে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তাঁদের ভয় দেখিয়েছিলেন ও হুমকি দিয়েছিলেন।

জাভেদ নাকি সেই সময় বলেছিলেন, “যদি আপনি হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা না চান, তবে আপনাকে আত্মহত্যা করতে হবে। কারণ রোশন পরিবার আপনাকে জেলে পাঠাবে। ওঁদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। তাঁরা এটাও জানেন যে, মামলাটি সম্পূর্ণ তাদেরই হাতেই রয়েছে।” এরপরেই ২০২০ সালে কঙ্গনার সেই কথার ভিত্তিতে, আদালতে মানহানির মামলা করেন জাভেদ। এরপর গীতিকারের নামে পালটা মামলা করেন কঙ্গনা। তবে এবার এই মামলার পরবর্তী তারিখে অভিনেত্রীকে জেরা করবেন জাভেদ আখতারের আইনজীবী।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh