বড় মেয়ে পায়েলের মৃত্যুর পর সকলের আড়ালে চলে যান মৌসুমী! দীর্ঘ বছর পর সাক্ষাৎকার মুখ খুললেন পর্দার ‘বালিকা বধূ’
বাংলা তথা ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়(Moushumi Chakraborty)। বাংলা ছবির পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও দাপিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। তবে তার অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের বালিকা বধু ছবির হাত ধরে। পর্দায় দেখা গেছে হিন্দি ছবি পিকুতে। তারপর সেভাবে আর পর্দায় দেখা যায়নি তাকে। আসলে বড় মেয়ে পায়েলের মৃত্যুর পর সে শোক কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল অনেকটা।
সেই ঝড় সামলে আপাতত সামনে এসেছেন বর্ষিয়ান অভিনেত্রী। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মারা যান মৌসুমী চক্রবর্তীর বড় মেয়ে পায়েল তাও মাত্র ৪৫ বছর বয়সে। ছোটবেলা থেকেই জুভেনাইল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন তার বড় মেয়ে। ২০১৮ সালে প্রায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার আগের বছর। ২০১৮ সালের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পায়েলের স্বামী পোশাক ব্যবসায়ী ডিকি সিনহা।
তবে পায়েলের মৃত্যুর পর তা শ্বশুরবাড়ি থেকে মৌসুমীর ওপর উঠেছিল একাধিক অভিযোগ। তার স্বামী এবং পরিবার জানিয়েছিলেন মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না অভিনেত্রীর। মাঝে একবার মেয়ের কাস্টাডি চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী চলে যাওয়ার পরে এমনই মন্তব্য করেছিলেন তার স্বামী ডিক। এমনকি পায়েলের মৃত্যুর পর নাকি মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় তার শেষ যাত্রায় আসেননি। তার বাবা এবং বোন হাজির হয়েছিল।
সম্প্রতির লেহরান রেট্রোকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অভিনেত্রী বলেছেন তিনি না চাইতেই অনেক কিছু পেয়েছেন তেমনি আঁচল খালি করে মেয়েকে ভগবানের হাতে তুলে দিয়েছেন। মৌসুমির কথায়,’আমি তাও সুখী। কারণ রোজই কোনও না কোনও মায়ের আঁচল খালি হচ্ছে। বিশেষ করে জাওয়ানদের। সেই কথা ভেবেই রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারি। জাওয়ানের মা-রা এক বাচ্চার শরীর আসার পর আরেক বাচ্চাকে তৈরি করে। ওদের সামনে আমাদের কষ্ট কোনও কষ্টই না। এই কারণে আমি এখনও হাসতে পারি। আমার মনে হয় আপনাকে আনন্দের কারণ হতে হবে। কারণ কষ্ট বা দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জিনিস না। আর ব্যক্তিগত কারণে আমি সবার সামনে কাঁদতেও পারি না। এরকম শক্ত করেই আমার মা-বাবা আমাকে তৈরি করেছে’।
তারপরই সাক্ষাৎকারে নিজের মোদি প্রীতি শেয়ার করে মৌসুমী বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নামে কোন খারাপ কথা শুনতে পারেন না। সেই জন্য অনেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি এটাও বলেছেন কেউ যদি মোদির নামে খারাপ কথা বলে তিনি কাছে চালিয়ে দেবেন।