বাংলার মেয়েরা স্বপ্ননগরী মুম্বাইতে গিয়ে বড় মাপের অভিনেত্রী হয়েও কিন্তু ভোলেন না কলকাতাকে, রানী মুখার্জীর হৃদয়েও চিরকাল রয়ে যাবে কলকাতা বলে তিনি জানান
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই একসময়ে ছিল ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মুখ, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন প্রমুখের ছবি রিলিজ হলেই ভারতবাসী ছাড়াও উৎসাহিত থাকত বিদেশী সিনেফাইলরাও। তবে এখন এসেছে বলিউড, পিছিয়ে গেছে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, আর আরো এগিয়ে গিয়েছে সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাই কিন্তু বলিউড কাঁপিয়ে এসছেন বরাবর। মিঠুন চক্রবর্তী, কিশোর কুমার, বাপ্পি লাহিড়ি, শর্মিলা ঠাকুর, রানী মুখার্জী, বিপাশা বসু, অরিজিৎ সিং যতই গভীরে যাওয়া হোক না কেন, বাঙালি সব জায়গায় রয়েছে।
বাংলার তরফ থেকে রানী মুখার্জী অন্যতম এক উপহার বলিউডের। নব্বইয়ের দশকে একপ্রকার রানী মুখার্জীর নাম ছিল সকলের মুখে মুখে। রানীর সামান্য ভাঙা গলার স্বর পাগল করে দিত দর্শকদের। হিন্দি রিয়েলিটি শো-তে গিয়ে বাঙালি প্রতিযোগীদের বাড়ির লোকের সাথে বাংলায় কথা বলা শুরু করলেই হেসে ওঠেন বাংলার মানুষরা। ভাষা এক হলে একটা টান তো থাকবেই। আর এই টানটি রানীরও রয়েছে কলকাতার প্রতি।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসেছিলেন রানী, সেখানে কলকাতা নিয়ে বলার সময়েই বেশ নস্টালজিক হয়ে গেলেন, পুরোনো দিনের কথা বলতে শুরু করে চোখের কোণায় জল চলে আসলো তাঁর। কলকাতার ফুচকার স্বাদ মুম্বাইয়ের পানিপুড়িতে নেই বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বড় বড় অভিনেতা অভিনেত্রী পরিচালক যেমন সত্যজিৎ রায় ঋত্বিক ঘটক মৃণাল সেনের মতো এসে সম্মান পেয়েছেন, আজ সেখানে এসে তাঁদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে খুব খুশি।
মুম্বাইতে থাকলেও বাড়ির টান তো বাড়িরই টান। কলকাতায় দুর্গাপূজার সময় না থাকতে পারলেও মুম্বাইয়ের মুখার্জী বাড়িতে বেশ ঘটা করেই দুর্গা পূজা পালন করা হয় প্রতি বছর। সেইসময় পুজোতে বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারা এসে ঢাকের তালে কোমর দুলিয়েও যান। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রানীর ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’। এক মায়ের তার সন্তান ফিরে পাওয়ার লড়াই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। শাহরুখ খানের মতো বড় বড় অভিনেতা এই ছবির ট্রেলার শেয়ার করে ছবির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন বন্ধু রানীকে।