“আমার গানে মুখ দেখিয়ে সালমান খান পেল ৩৫ কোটি টাকা, আর আমি মাত্র ২৫ হাজার!” চরমতম বৈষম্যের কথা তুলে ধরলেন সোনু নিগম
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর থেকেই বলিউডের জঘন্য রূপ টা সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছিল। মুখোশ খুলে বেরিয়ে পড়েছিল স্টারকিড স্বজনপোষণের ব্যাপারটি। কিভাবে প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বলিউডে সুযোগ না পেয়ে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কিংবা সুযোগ পেয়েও তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় সর্বসমক্ষে সেই ব্যাপারটি প্রকাশ্যে এসেছিল। বলিউডের পাশাপাশি বলিউডের সাথে জড়িত গানের জগতে রয়েছে এরূপ জঘন্য ঘটনা।
শুধুমাত্র কাজ না পেয়ে অনেক প্রতিভাবান মানুষ বলিউড ছেড়ে দূরে চলে গেছেন। কিছুদিন আগেই সামনে এসেছিল অভিনেত্রী সোমি আলী খানের প্রসঙ্গটি। অভিনেত্রী বলেছিলেন কাজের জন্য তাকে নামিদামি প্রযোজকরা সঙ্গমের প্রস্তাব দিতে পিছপা হননি। এছাড়াও কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের হেডলাইনে ঘোরাঘুরি করছেন কার্তিক আরিয়ান। অভিনেতার বক্তব্য ছিল তিনিও স্টারকিড না হওয়ায় তাকে বলিউড থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও মুখ খুলে ছিলেন বিখ্যাত গায়ক সোনু নিগাম। গানের জগতে যে কিভাবে স্বজনপোষণ হয় তা বলেছিলেন তিনি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি বিশেষত আমাদের সংগীত সংস্থাগুলির কাছে একটি অনুরোধ জানাতে চাই। আজ সুশান্ত সিং রাজপুত মারা গেছেন, তিনি ছিলেন একজন অভিনেতা। কাল আপনি হয়ত একজন গায়ক, সুরকার বা গানের লেখক সম্পর্কে অনুরূপ কিছু শুনতে পাচ্ছেন। কারণ, পরিবেশটির পরিবেশ দুর্ভাগ্যক্রমে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় আমাদের দেশে সংগীত শিল্প এমন বড় মাফিয়াদের উপস্থিতি রয়েছে।” এছাড়াও মুখ খুলেছিলেন প্রতিভা এবং পারিশ্রমিকের বিরুদ্ধে। কিভাবে পারিশ্রমিক নিয়েও হেয় করা হয় এই ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি তা তুলে ধরেছিলেন!
ইতিমধ্যেই টি সিরিজের ভুষণ কুমার সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ আনেন অভিনেতা সোনু সুদ। হঠাৎই ফেসবুকে ঘুরতে থাকে ৭ বছরের পুরনো একটি ভিডিও। সেখানে সোনু জানান, গুলশান কুমারের হাত ধরেই তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। পরে সোনু নিগমের নিজে লঞ্চ করেন ভূষণকে। সোনু নীগম জানতেন ভুষণ কুমার নানা রকম বাজে কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। তাও তিনি নিজের ভাইয়ের মত হেল্প করেছিলেন তাকে।
গায়ক মুখ খোলেন অভিনেতাদের বিরুদ্ধে। জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান বলেছিলেন একটা গান হিট হওয়ার পিছনে গায়িকাদের কোন কৃতিত্ব থাকেনা। কৃতিত্ব থাকে শুধুমাত্র নায়ক নায়িকাদের। এই প্রসঙ্গে গায়ক সোনু নিগাম প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিলেন, ‘তাহলে নায়ক নায়িকাদের নিয়ে করা যে কোনও ভিডিও অ্যালবামই সুপার ডুপার হিট হত। কিন্তু সব গান হিট করে না, করে কিছু গান’।
একথা কারোরই অস্বীকার করার জোর নেই যে একটা গান হিট হয় সেই গানের সুরকার, গীতিকার এবং সুমধুর কন্ঠের জোরেই। সালমান খানের ফ্যান হয়েও গায়ক সোনু নিগম বলেন তার গানের শুধুমাত্র মুখ দেখিয়ে সালমান খান পেয়েছিলেন ৩৫ কোটি টাকা এবং গায়ক পেয়েছিলেন মাত্র ২৫ হাজার টাকা। এই বৈষম্য প্রসঙ্গে সোনু নিগাম আরও বলেছেন, ’যেমন ধরুন সারে কে ফল সা গানটি। গায়ক নাকাশ আজিজ আজ কোথায় কেউ জানে না। অথচ ঠিক সময়ে রয়্যালটি পেলে অনেক নতুন গায়ক গায়িকা লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারতেন।’