ছেলের বউ মেয়ে হতে পারে না বলে মনে করেন শর্মিলা ঠাকুর !
সেলিব্রেটিদের অন্দরমহলের কথা জানতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন মানুষ। অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীদের জীবনে কি কি ঘটে ? তাঁরা কোথায় কখন কি করেন তা জানতে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এরই মাঝে বলিউডের এক বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তাঁর নিজের বৌমাকে নিয়ে বললেন কিছু কথা।
বলা ভালো একেবারে পরিবারের অন্দরমহলের কথা শেয়ার করলেন তিনি। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। তাঁকে আলাদা করে চেনানোর প্রয়োজন পড়ে না। এবার তিনি শেয়ার করলেন তাঁর বৌমা করিনা কাপুরকে নিয়ে কিছু কথা। যদিও সাইফ আলী খানের এটি যে দ্বিতীয় বিয়ে ছিল তা তো সকলেরই জানা।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর প্রথম বিয়ে ভেঙেছিল সাইফ আলী খানের। এদিকে রাজ পরিবার নিয়ে বরাবরই অবগত ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। তাই ছেলের প্রথম বিয়ে ভাঙার পরে নাতি নাতনিরা দূরে চলে যাবে এই ভেবে বেশ কষ্ট ছিলেন তিনি। অন্ততপক্ষে পতৌদি সাহেবের একেবারেই পছন্দ ছিল না বিষয়টি।
View this post on Instagram
যদিও সারা ও ইব্রাহিমের সঙ্গে এখনও সম্পর্ক রয়েছে সাইফ আলী খান ও তার পরিবারের। সে সময় এর পরেই সাইফের জীবনে এসেছিলেন করিনা কাপুর। সম্প্রতি নিজের বৌমা করিনাকে নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষিয়ান অভিনেত্রী। শর্মিলা ঠাকুর নিজে টাইগারের সঙ্গে লিভ ইন করেছেন।
কিন্তু তার সময় তখন লোকসমাজে কিংবা পরিবারে বড়দের সামনে সেসব কথা বলার সাহস ছিল না। এ বিষয়ে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, “দিল্লিতে আমরা একদিন সবাই বসে আছি। সকলে আমাদের বয়সের ছিলেন প্রায়। সেখানে করিনা ও ছিল। এবং ও কতটা সাবলীলভাবে সহজ করে বিষয়টা দেখেছিল না বললেই নয়।
আমিও লিভ ইন করতাম টাইগারের সঙ্গে, কিন্তু বলতে পারার সাহস ছিল না। করিনা কিভাবে বলল জানো ? ও সোজা বলতে শুরু করল…. হ্যাঁ, আমি যখন ঘুম থেকে উঠি তখন সাইফ আমায় এটা বলে, সেটা বলে। এর থেকে আমি বুঝে গেলাম যে ওরা একসঙ্গে থাকে। এটা খুব ইউনিক লেগেছিল আমার।”
আরও পড়ুন : দেবের পরের ছবিতেও মিঠাইরানী! সৌমিতৃষা নিজেই জানালেন আসল সত্যি
পতৌদি খানদানের বউ হচ্ছে বলে কারিনা কাপুরের ওপর কখনোই জোর করে কিছু চাপিয়ে দেননি শর্মিলা ঠাকুর। বরং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে নিজের মতন করেই পরিবারে সবকিছুর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন। বাড়ির বউ ঠিক কেমন হওয়া উচিত ? শাশুড়ির সঙ্গে বৌমার সম্পর্ক ঠিক কি রকম হওয়া উচিত বলে মনে করেন শর্মিলা ঠাকুর ?
অভিনেত্রী মনে করেন, “মেয়েরা বৌমা হতে পারে না। আর শাশুড়ি ও মা হতে পারে না। কারণ একজন মা তার মেয়েকে বড় হতে দেখে। তার ভালো, খারাপ, দোষ, গুণ, মেজাজ সবটা জানে। আর ছেলের বউ পরিণত বয়সে বিয়ে হয়ে আসে। তাঁর মেজাজ বোঝা সম্ভব না। তাই আমার মনে হয় একজন শাশুড়ির বৌমার বন্ধু হওয়া ভালো।”