সত্তরের দশকে খলনায়কের চরিত্রে আমরা সব সময় দেখতে পেয়েছি অভিনেতা ড্যানি ডেনজংপা কে। সেইসময় খলনায়কের চরিত্রে জন্য তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। প্রত্যেকেই তার অভিনয় দুর্দান্ত প্রশংসা করেছিলেন। এখনো লোকের মুখে মুখে ড্যানির নাম ঘোরাফেরা করে। তিনি খলনায়ক এর চরিত্র এতটাই দাপটের সহিত অভিনয় করতেন যে দর্শকেরাও রীতিমতো তার অভিনয় দেখে ভয়ে কাঁপতো। তিনি প্রথম ১৯৭১ সালে ‘মেরে আপনে’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এরপরে ১৯৭৩ সালে ধুন্দ ছবিতে রঞ্জিত সিং এর ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকের থেকে দারুণ প্রশংসা পেয়েছিলেন। অভিনেতাকে তো আমরা প্রত্যেকেই চিনি কিন্তু অভিনেতার জীবন সঙ্গীর ব্যাপারে আমরা অনেকেই জানিনা।
বাস্তব জীবনে ডাইনির জীবনসঙ্গী এতটাই সুন্দর যে যেকোনো বলিউড অভিনেত্রীকে তিনি নিজের রূপের দ্বারা হারিয়ে দিতে পারেন। আজ আমরা সেই সুন্দরী মহিলার কথাই জানব।
পর্দার খলনায়ক বাস্তব জীবনে বিয়ে করেছিলেন সিকিমের রানীকে। যিনি বলিউডের বড় বড় অভিনেত্রী কে হার মানাতে পারেন। অভিনয় জীবনের ড্যানির পারভিন ববি থেকে শুরু করে আরো অনেকের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পর্দায় নয় বরং পর্দার বাইরের মানুষকে পছন্দ করেছিলেন। শোনা যায় ৮০ এর দশকের দিকে তিনি কিম যশপাল কে প্রায় ৭ বছর ডেট করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক আর বেশিদূর গড়ায়নি। বিয়ের কথাবার্তা হওয়ার আগেই তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়। এরপরে ড্যানি নিজের মায়ের কথা মতোই তার মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন। ড্যানির মা পরবর্তীকালে গ্যাংটকে ‘গাওয়া’ নামে একটি মেয়ের সাথে দেখা করেছিলেন। সেই মেয়েটি ছিলেন রাজপরিবারের সদস্য। পরবর্তীকালে তাকেই ড্যানি বিয়ে করেন, এবং তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে।
বড় বড় সুপারহিট সিনেমা খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ড্যানি। এমনকি শোলে সিনেমার গাব্বার সিংয়ের চরিত্রের জন্য তার কাছে অফার এসেছিল কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তা নিয়ে কোনো আফসোস নেই ড্যানির তিনি বলেন ‘আমার লেশমাত্র আক্ষেপ নেই যে আমি গব্বর সিং-এর চরিত্র করতে পারিনি। কারণ যদি আমি শোলেতে অভিনয় করতাম তবে আমজাদ খানের মতো অমন দক্ষ অভিনেতার অভিনয় আমরা দেখতেই পেতাম না।’