‘স্বল্প পোশাক পড়লে যারা আমাকে ট্রোল করে তারা পুরনো জমানার শাশুড়ি’, আবারো খোলা পোশাকে ট্রোলের শিকার হলেন উর্ফি জাভেদ, স্বীকার করলেন আসল সত্যি
উর্ফি জাভেদ কে চেনেন না এমন কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বর্তমানে নেই। মাঝে মধ্যেই তিনি নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শিরোনামে উঠে আসেন, তৈরি হয় একাধিক সমালোচনা। তাকে সর্বদাই বোল্ড লুকে দেখে এসেছেন দর্শকেরা। এমনকি কিছুদিন আগে তিনি নিজে স্বীকার করেছিলেন যে পাপারাজ্জিরা তাকে শর্ট ড্রেসে দেখতে পছন্দ করেন। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি কোন ধরনের ট্রোল কে পাত্তা দেন না।
সম্প্রতি কোন একটি অনুষ্ঠানে উরফি হালকা গোলাপী রঙের শাড়ি এবং গোলাপী খোলামেলা ব্লাউজে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরাবন্দি হন তিনি। সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি এত ট্রোল হওয়া সত্ত্বেও চুপ করে থাকেন কিভাবে। উরফি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তার ট্রোলার রা কেউই তার বাবা-মা নন, তাই তাদেরকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা এমন ভাবে ব্যবহার করছেন যেন তারা ১৯২৬ সালের বুড়িমা। অনেকেই উর্ফিকে রানু মন্ডল এর সঙ্গে তুলনা করেন। এক মহিলা তার ভিডিওতে কমেন্ট করে লিখেছেন যে উরফির সাহস আছে বলেই তিনি এই ধরনের পোশাক পরতে পারেন।
এর আগে মুম্বাই এয়ারপোর্টে নট জাভেদ আখতার’স গ্র্যান্ডডটার লেখা একটি সাদা রঙের টি-শার্ট পড়ে দারুণ ভাইরাল হয়েছিলেন উরফি এবং তার হাতে ধরা ছিল একটি শ্রীমদ্ভাগবত গীতা। এছাড়াও উর্ফি নিজেই জানিয়েছিলেন যে তার পরনের টি শার্ট যেন ভালোমতো ভাবে ক্যামেরায় দেখানো হয়। তিনি যে জাভেদ আখতারের নাতনি নন সেটা যেন সবাই জানতে পারে।
উফি আগেও জানিয়েছেন তিনি অত্যন্ত রক্ষণশীল মুসলমান পরিবারের একজন মেয়ে। যার ফলে তাকে ওড়না ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে দেওয়া হতো না, এর জন্যই তার মন পছন্দ পোশাক কোনদিনই পড়া হয়নি। তাই জন্য তিনি বাধ্য হয়ে রক্ষণশীলতা মানতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন। অনেক লড়াই করার পর মুম্বাইয়ের মাটিতে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন নিজের বিগবসের OTT তে থেকেই তাঁর পরিচিতি বাড়ে।
View this post on Instagram