অনাথ নাতনিকে একটিবার দেখতে চেয়েছিলেন পরিমণির দাদু, অনুমতি না দেওয়ায় আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে অসুস্থ বৃদ্ধ
ছোটো বেলা থেকে পিতৃ মাতৃ হীন মেয়েকে আগলে রেখেছিলেন তার দাদু। নিজের বলতে একমাত্র দাদুই ছিল পরীমনির ভরসা। আর দাদু ও নাতনি বলতে অজ্ঞান। বৃদ্ধ বয়সে তার একমাত্র সম্বল। সেই নাতনি আজ পুলিশ হেফাজতে।
৪ দিনের রিমান্ড শেষে অবশেষে পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতেই পরিমনির দাদু নাতনি কে একটিবার দেখতে এসেছিলেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও অনুমতি দেয়া হয়নি তাকে পরীমনির সঙ্গে দেখা করার।
পরিমনির দাদু শামসুল হক। বয়স প্রায় ১০০ পেরিয়েছে। নাতনিকে একটিবার চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধ, কিন্তু অনুমতি মেলেনি। আদালত চত্বরে সেইদিন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি।
সদ্যই পরিমনির দাদুর শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে, এখনও পুরোপুরি শারীরিকভাবে সুস্থ নন তিনি। সেই অসুস্থ শরীরে ছুটে এসেছেন নাতনিকে দেখতে। কান্না স্বরে সেদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ বলেছিলেন “আমি ছাড়া ওর আর কেউ নেই,” তিনি আরও বলেছিলেন “আমার নাতনী কোন দোষ করেনি, ওকে বিনা দোষে শাস্তি দেয়া হচ্ছে”। পরিমনিও ঐদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কান্নায় চিৎকার করে বলেছিল “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, জোর করে আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে”।
কিছুদিন আগেই নিজের ইনস্টাগ্রামে দাদুর একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করেন পরীমনি ক্যাপশন “দেখুন কেমন বাচ্চাদের মত”। অস্ত্রোপচারের পর বেশ কিছুদিন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ছিল দাদুর, তবে চকলেট গিফট করায় সেটি একেবারে বাচ্ছাদের মত খেতে শুরু করেন দাদু শামসুল হক। সেই চকলেট খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন পরীমনি। দাদুর সাথে যে সম্পর্ক কতটা মিষ্টি সেটা এই ছবিতেই স্পষ্ট।
বাড়িতে মাদক জাতীয় দ্রব্য গচ্ছিত রাখার অপরাধে অভিনেত্রী পরীমনিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তারপর থেকে পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন পরীমনি। এর পরেই বাংলাদেশ পুলিশ কর্তার সাথে পরীমনির ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ভিডিও সকলের সামনে আসে, সেই নিয়েও মামলা চলছে আদালতে।
মূলত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের খবরের শিরোনামে রয়েছেন পরীমনি। অনেকদিন ধরে তাকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক নানা চর্চা চলছে। আদালতে রিমান্ডের পরে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ আরো পাঁচ দিন পরীমনিকে পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি চেয়েছেন।