“সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই নীতি পুলিশ, যাঁরা নেটপাড়ায় সংস্কৃতির কথা বলছেন তাঁরা কি সত্যিই ভারতীয় সংস্কৃতির কথা জানেন? ভালোবাসাটা অপসংস্কৃতি?” – স্বামীকে চুম্বন করার ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা সুদীপের স্ত্রী পৃথা! সেই বিতর্কে এবার জবাব দিলেন অভিনেতা
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ নিজের সব ধরনের আবেগ প্রকাশ করেন। তাহলে সেখানে যদি কিছু ভালোবাসা জড়ানো ছবি থাকে তাহলে অসুবিধে কোথায়? কিন্তু বর্তমানে নেট পাড়া সেটা হতে দেবে না কোনমতেই। সবেতেই তারা তেরে আসে নীতি যোগ্যতা দেখাতে। ঠিক যেমন কিছুদিন আগেই বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ছোট পর্দার দৌলতে অভিনয় জগতে বেশ ভালই নাম কামিয়েছেন অভিনেতা। বিশেষত শ্রীময়ী ধারাবাহিকের অনিন্দ্য চরিত্র মানুষের মনে এখনো জ্বলজ্বলে হয়ে রয়েছে। এছাড়া স্টার জলসার একটি নন ফিকশন শো ইসমার্ট জরিতে সুদীপ উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী পৃথা কে নিয়ে।
সেখানেও এই জুটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে মানুষ এই জুটিকে বেশ পছন্দ করলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের অভাব হয়নি। স্বামীর জন্মদিনে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন পৃথা। স্বামীকে চুম্বনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিশেষভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু তাতে নেটিজেনদের একাংশের বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রকমের নোংরা মন্তব্য করে পৃথা থাকে জর্জরিত করেছেন তারা। যদিও অভিনেতার স্ত্রী ব্যাপারটিকে খুব বেশি পাত্তা দেননি। তবে পুজো শেষে বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তা সকলেই জানাচ্ছেন সবাইকে। এরই মধ্যে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি বিষয়ে বেশ কিছু কথা বললেন অভিনেতা সুদীপ। কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি সেটা জানার প্রশ্ন রাখলেন নেট জগতে।
অভিনেতা বলেন, “পৃথার যে ছবিটি নিয়ে ট্রোল হচ্ছে সেই ছবিটিতে ভাবনার থেকেও অনেক বেশি ‘ভিউস’। কিন্তু, যাঁরা ট্রোল করছে তাঁদের ভাষায় যে সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা দিচ্ছি তা কিন্তু কেউ দেখছে না। একটা মানুষেরই একটা দিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই নীতি পুলিশ। তাঁদের কারও প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। যাঁরা নেটপাড়ায় সংস্কৃতির কথা বলছেন তাঁরা কি সত্যিই ভারতীয় সংস্কৃতির কথা জানেন?”
এইটুকুতেই থেমে যাননি তিনি। সুদীপ আরো বলেছেন, “একটি পাবলিক ফোরামে অকথ্য কুকথা বলে কিছু মানুষ দাবি করছেন আমরা নাকি নোংরামো করছি। আমার প্রশ্ন তাঁদের এই ব্যবহার আদতে কতটা সভ্য! এটা কৃতদাস মানসিকতার এতটি প্রতিফলন। অন্যের ক্ষতি করে, তাঁকে কুকথা শুনিয়ে শান্তি পাওয়া কিন্তু, দাস মনোভাবের প্রতিফলন। পৃথা আমাকে জড়িয়ে ধরলে, চুমু খেলে যাঁরা অপসংস্কৃতি বলছেন তাঁদের কি মনে হয় ভালোবাসাটা অপসংস্কৃতি? আর যিনি কুকথা বলে চলেছেন সেগুলো সংস্কৃতি! রাস্তাঘাটেও নীতিপুলিশ সক্রিয়। অনেক সময় রাস্তায় যুগলদের হেনস্থা করা হয়। এমন আচরণ করা হয় যেন তাঁরা কোনও অন্যায় করেছেন। অথচ যাঁরা চুরি ডাকাতি করে ফাটিয়ে দিচ্ছে তাঁদের মাথায় করে রাখা হয়। আমার মনে হয় মানুষের মধ্যে শিক্ষা জাগাটা প্রয়োজন। দেশের ইতিহাস ফিরে দেখুন।” যদিও, দেশের প্রতি নিজের জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা পালনের বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা। এছাড়াও যেহেতু বিজয়া সেই কারণে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাধারণের উদ্দেশ্যে।