“আমার নাম বারবার নেওয়া হচ্ছে, আমি খুব বিরক্ত বোধ করছি, নাটকটিতে কোন বোল্ড সিন নেই, সিন না থাকলে ওয়ার্কশপ করারও কোন প্রয়োজন নেই, আমি চাই আমার নাম নেওয়াটা বন্ধ হোক” – অভিনেত্রী সুকন্যা দত্ত আর পরিচালক বাপ্পার প্রফেশনাল ঝামেলার অভিনেত্রীর বাসকদত্তার নাম জড়ানো বিরক্ত অভিনেত্রী
বেশ কিছুদিন ধরে টলিউড সরগরম রয়েছে অভিনেত্রী সুকন্যা দত্ত এবং পরিচালক বাপ্পার মধ্যেকার ঝামেলা নিয়ে। অভিনেত্রী সুকন্যা দত্ত দাবি করেছেন যে পরিচালক বাপ্পা তাঁকে বোল্ড দিনের জন্য ওয়ার্কশপ করতে বলেছেন। যদিও সেই কথায় কাজ করতে চাননি সুকন্যা। যদি ওই কথা একেবারে মিথ্যা এই দাবিতে পরিচালক আইনি পদক্ষেপ নেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীও বাদ যাননি, তিনিও সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিচালকের বিরুদ্ধে। তবে এসবের মধ্যেই জড়িয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের নাম। অভিনেত্রী সুকন্যার দাবি বাপ্পা তাঁকে বলেছিলেন বাসবদত্তও আমার কাছে এভাবেই কাজ পেয়েছে। অন্যদিকে বাপ্পা বলছেন সুকন্যার এই দাবি একেবারেই মিথ্যে। এইসব কর্মকাণ্ডের মাঝেই মুখ খুলে অভিনেত্রী বাসক-দত্তা চট্টোপাধ্যায়।
একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিনেত্রী বলেন, “এই বিষয়টা প্রথমে আমি গুরুত্ব দিতে চাইনি কিন্তু যখন দেখছি আমার নাম বারবার আসছে, আমি খুবই বিরক্তি বোধ করছি। বাপ্পার প্রথম ছবি ‘শহরের উপকথা’য় আমি অভিনয় করেছি, যাঁরা এই ছবি দেখেছেন তাঁরা জানবেন এই ছবিতে ও বাদল সরকারের নাটকটিতে কোনও বোল্ড সিন নেই। যদি সিন না থাকে তাহলে ওয়ার্কশপ করারও প্রশ্ন থাকে না, অতএব সেটা আমি করিনি। অভিনেত্রী সুকন্যা দত্তকে আমি চিনি না, আমার দুর্ভাগ্য ওঁর কোনও কাজ দেখার সুযোগ হয়নি। আমার নামটা বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে, খুবই বিরক্তি লাগছে। আমি বাপ্পাকে পরিচালক হিসাবেই চিনি। ব্যক্তিগতভাবে ওঁকে জানি না, জানতে চাইও না। আমার সঙ্গে কাজের সম্পর্ক। আমি কাজ করি, টাকা পাই, বাড়ি চলে আসি। আমার ১২ বছরের কেরিয়ারে এই ধরনের কথা আমায় শুনতে হয়নি। আমাকে কেউ নাকউঁচু, কেউ অহংকারী বলে, আমি কারোর সঙ্গে বেশি মিশি না, আমি প্রচারবিমুখ, সেগুলো হতে পারে কিন্তু এরকম একটা বিষয়ে আমার নাম জড়ানোর এই সাহসটাই কারোর হয়নি এই ১২ বছরে”।
এই কথাতেই বাসবদত্তা আরও সংযোজন করেন, “বাপ্পা তো নতুন পরিচালক, আমার কোনও প্রয়োজন নেই ওর সঙ্গে বোল্ড সিনের ওয়ার্কশপ করে কাজ পাওয়ার। যাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা জানেন আমায়। পর্দাতেও আমি সবধরনের সিন করি না। আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না বলে বহু বড় বড় পরিচালকের কাজ ছেড়ে দিয়েছি। সুতরাং তাঁদের কাজ যদি ছেড়ে দিয়ে থাকি, তাহলে বাপ্পা তো নতুন পরিচালক। আমি বাপ্পা আর সুকন্যার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাই না, ওঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার একটাই আপত্তি, আমার নামটা বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার বাপ্পার সঙ্গে কথা হয়েছে, ও আইনি সহায়তা নিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু আমার ওঁদের বিষয় নিয়ে কথা বলার সময়ও নেই, আমি চাই আমার নাম নেওয়াটা বন্ধ হোক”।