নিয়মিত নিজে পূজোপাঠ করতেন অভিষেক চ্যাটার্জী, প্রচন্ড পরোপকারী ছিলেন অভিষেক, সব সময় ছুটে যেতেন অন্যের বিপদে
গতকাল মাঝরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালপ্রয়াণ ঘটে বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জীর। এ বছর আমরা আমাদের মাঝখান থেকে হারায় আরো একজন কিংবদন্তিকে। মৃত্যুর একদিন আগেও খরকুটোর শুটিং ফ্লোরে শুটিং করতে গিয়ে ছিলেন অভিনেতা। অভিনয় করতে দারুণ ভালোবাসতেন সমস্ত চরিত্র তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই তো কখনোই কোনো বিরতি নেননি তিনি সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে যুক্ত রাখতেন।
চার দশক ধরে তিনি টলিউডের বড় পর্দা এবং ছোট পর্দায় অভিনয় করে চলেছেন। দর্শককে দিয়েছেন একাধিক ভালো কাজ। তখন অভিষেক চ্যাটার্জী সুপারহিরোদের থেকে কম কিছু নয়, শুধুমাত্র একজন ভালো অভিনেতাই নন একজন ভালো মানুষ এবং পরোপকারী মানুষ ছিলেন অভিষেক বাবু। মানুষের বিপদে-আপদে সমস্ত কিছু দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন তিনি।
অভিষেক চ্যাটার্জী কে শেষকৃত্যে সম্মান জানাতে হাজির হয়েছেন তার ইন্ডাস্ট্রির অনেক সহকর্মীরা। অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন ওই দিন তার শেষকৃত্য। হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। তিনি এই অকাল প্রয়াণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন কান্নায়। সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানান ‘আমার অভিনয় জীবনের শুরু হয়েছে অভিষেক চ্যাটার্জী হাত ধরে, ওর সঙ্গে একের পর এক ছবি করেছি, অভিষেক যখন সিনেমায় কাজ করতো তখন আমি টেলিভিশন দিয়ে শুরু করেছি। এরপর ছবিতে একসঙ্গে কাজ আমাদের।’ অভিনেত্রী আরো জানান যে বর্ধমানে এক শো করতে গিয়েছিলেন দুজনে, সেখানে দেরিতে পৌঁছানোর জন্য অনুষ্ঠানের কর্মীরা তাদের নামে কেস করে বর্ধমান থানায় সেখানে দুজন মিলে একসঙ্গে সেই লড়াই লড়ে ছিলেন।
অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার মেনে নিতে পারছেন না তার খুব কাছের বন্ধুর এই অকাল প্রয়াণ। গত তিন বছর ধরে দুজনের সঙ্গে সব সময় দেখা হতো। কারণ দুজনেই স্টার জলসার ধারাবাহিকে কাজ করতাম। সব সময় গল্প-আড্ডা হাসির মাধ্যমে মাতিয়ে রাখতো সকলকে। দুজনেই খেতে খুব ভালোবাসতাম। অসম্ভব জেদী ছিল অভিষেক। ঠাকুর দেবতার ভীষণভাবে বিশ্বাসী ছিলেন অভিষেক চ্যাটার্জী। পূজা অর্চা বিশ্বাসী ছিলেন। নিজে পূজা করতেন ও নিয়মিত। আর এমন দেবতার মত এক মানুষের অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।