“ভালো অভিনেত্রী এটা ঠিকাছে, কিন্তু গর্ববোধ করার মতো কিছু হয়নি” – ‘প্রাইড অফ বেঙ্গল’ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে প্রশ্নের মুখে মিমি, কি করেছো?
অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন জনসাধারণের মধ্যে। তারপরেই দেখলেন তাঁর এই জনপ্রিয়তাকে তিনি কাজে লাগাতে পারবেন মানুষের সেবার জন্য। তাই তিনি শাসকদলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মানুষ তাঁকে ভালোবাসে বলে সাংসদ হিসেবে বেছেও নিয়েছেন। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তাই এখন টলিউডের অভিনেত্রীর পাশাপাশি যাদবপুরের সাংসদও বটে। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক জীবনেও অনেক কাজ করে থাকেন তিনি।
তবে নেটিজেনরা কিংবা যাদবপুর বাসীদের এবিষয়ে সন্দেহ আছে। এমন কি করেছেন মিমি যাতে তাঁকে বাংলার গর্ব বলা হল? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তবে পেয়েছেন প্রশংসাও ভক্তদের থেকে। প্রত্যেকটি জিনিসেরই যেমন ইতিবাচক নেতিবাচক উভয় দিকই, এদিন অভিনেত্রী ছবি পোস্ট করার পর আসলো ভালো খারাপ উভয় মন্তব্য। অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পেয়েছেন ভক্তদের থেকে তিনি তাঁর কাজের জন্য। একজন লিখলেন, “এভাবেই যেন আমরা তোমাকে নিয়ে সারাজীবন গর্ব করতে পারি। অনেক শুভেচ্ছা মিমি”। আর একজন অভিনেত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করে জানান, “কী মিষ্টিই না লাগছে আমাদের দিদিকে। অনেক খুশি হয়েছি। অনেক ভালোবাসি তোমায়। খুব ভালো থেকো”।
তিনটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী নিজের বক্তব্য জানালেন, “আমি প্রাইড অফ বেঙ্গল অ্যাওয়ার্ড, ২০২৩-এর একজন প্রাপক হতে পেরে সম্মানিত। এবং আমি এই বিশেষ পুরস্কারের অংশীদার হতে পেরে ও অন্যান্য সম্মানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে সত্যিই কৃতজ্ঞ”। ছবি শেয়ার করে নিতেই উঠেছে কটাক্ষের ঝড়।
তবে কটাক্ষ গুলি যে সে কটাক্ষ নয়, চোখে পরার মতো। ‘প্রাইড অফ বেঙ্গল’ পাওয়ার জন্য এমন কি করেছেন মিমি? এমন মন্তব্যেরই ছড়াছড়ি কমেন্ট বক্সে। একজন লিখলেন, “আমি কি জানতে পারি আপনি বাংলার জন্য এমন কি করেছেন যে এই পুরস্কার পেলেন?”। আর একজন তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করার পরেও করলেন কটাক্ষ, লিখলেন, “কিসের জন্য প্রাইড? ভালো অভিনেত্রী এটা ঠিকাছে কিন্তু গর্ববোধ করার মতো কিছু হয়নি”।
View this post on Instagram