বাসন মাজতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র, মিমির ভালো লাগে ঝাড়ু দিতে, দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে অকপটেই স্বীকার করলেন সকলের সামনে
বাংলার নন ফিকশন শো গুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান। সোম থেকে রবি প্রতিদিন এই শো দেখা যায় জি বাংলার পর্দায়। রবিবার ১ ঘন্টার বিশেষ পর্বে দেখানো হয়। আর এই রবিবার এই ১ ঘন্টার বিশেষ পর্বে উপস্থিত ছিল বিশিষ্ট চারজন টলিউড অভিনেত্রী। যাদের আগমনে দিদি নাম্বার ওয়ান এর এই পর্ব আরো সুন্দর হয়ে উঠেছিল। ঐদিন এর বিশেষ পর্বে উপস্থিত ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র এবং সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়।
আর দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে রচনা ব্যানার্জীর একের পর এক দুর্দান্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে যান মিমি। ছোটবেলা কিভাবে কেটেছে বড় হয়ে কোথায় পড়াশোনা করেছে স্কুল-কলেজ সমস্ত গল্প অকপটে রচনা ব্যানার্জি এবং দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী মিমি। ছোটবেলা থেকেই সকলকে সাহায্য করতে ভালোবাসেন মিমি। তাই সেই স্বভাবটাই হয়তো পরবর্তীকালে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য সাহায্য করেছে। জনসাধারণের পাশে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে মিমি কে। এর পাশাপাশি আমাদের রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে উপযোগী মনে করেছেন অনেক উৎসাহ জাগিয়েছেন তাই হয়তো আজ মিমি এই জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছে। সেজন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে সে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পার্নো মিত্র কে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অকপটে জানিয়ে দেন বিয়ে নিয়ে তিনি কেন ভয় ভয় থাকেন। ২০১৩ সালে বাবাকে হারিয়েছেন পার্নো, মা দীর্ঘদিন অসুস্থ শয্যাশায়ী তাই দিনের বেশিরভাগ সময়টাই তার মাকে দিতে হয়। এইসবের মাঝেই তৃতীয় ব্যক্তি হঠাৎ করে এলে কি ধরনের রিয়াকশন দেবে তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই। তাই একটু ভয় ভয় থাকেন তিনি। তবে বাড়ির কাজ করতে বিশেষত বাসন মাজতে ভীষণ ভালোবাসেন তিনি। আর এই কথা শুনে সকলেই হো হো করে হেসে ওঠে। এককথায় রবিবারের দিদি নাম্বার ওয়ান এর সন্ধ্যা একেবারে জমজমাট।