“মানুষের সেবা করতে, উপকার করতে রাজনীতিতে নাম লেখাতে হয় না”, রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অকপট পায়েল সরকার
শাসক দল কিংবা বিরোধী দল, কোন দলই তারকা প্রার্থীদের অভাব নেই। কেউ রাজনীতির ময়দানে নেমে বিধায়ক কিংবা সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, কেউ আবার রাজ্য নেতৃত্বের দায়ভার সামলান। অন্যান্য তার প্রার্থীদের মতই একসময় ২০২১
সালের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতী জেপি নড্ডার হাত ধরে বিজেপি দলে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে গত ৫ বছরে কিন্তু রাজনীতির ময়দানে কোন প্রচার অভিযান কিংবা জনসভায় সেভাবে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেননি পায়েল সরকার। কেনো জানেন?
পায়েলের মতে, “মানুষের সেবা করতে, উপকার করতে রাজনীতিতে নাম লেখাতে হয় না।” মানুষের সেবা করার ক্ষেত্রে দলের থেকে টিকিট পেয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে খুব একটা বিশ্বাস করে না তিনি।
আরও পড়ুন : বউয়ের ভয়ে জুজু ইন্দ্রনীল! রচনার কাছে সায়ন্তনীর নামে বড়সড় অভিযোগ আনলেন ‘শতদ্রু’ ইন্দ্রনীল,
তবে যদি কোন বড় কাজ করতে চাওয়া হয় তাহলে কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেলে সেটা সহজে করা যায় বলে জানান তিনি। কোন একটা কাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লোককে জানানোর বিষয়টা পছন্দ করে না তিনি।
পায়েল বলেন,”মন থেকে ভাল কিছু করার থাকলে এমনই করা যায়। তার প্রচার লাগে না। এবার টিকিট জিতে, দলে একটা জায়গা করে নিয়ে মানুষের সেবা করা, সেটা আরও বড় ক্ষমতা। কেউ যদি সেই পদটার যোগ্য সম্মান দিতে পারেন, সেটার থেকে তো ভাল কিছু হয় না। তবে সেই করাটা হতে হবে মানুষের জন্যে, নিজের জন্যে নয়।”
তাঁর কথায়,”সামনে নির্বাচন, মানুষ যা-যা চাইছেন, যা-যা বলছেন, সেটা দেখা, শোনা, বোঝা সেগুলোই আসল। তবে আমার মনে হয় দলে থাকা, না-থাকার বিষয় নয়, যদি কেউ কোথাও কোনও সুযোগ পেয়ে থাকেন, তবে মাথায় রাখা দরকার সেই জায়গাটা যেন মানুষের স্বার্থে যথাযথ ব্যবহার হয়।”
তবে কি রাজনীতির ময়দান থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন পায়েল সরকার। তিনি জানান, রাজনীতিকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। কিন্তু দিনের শেষে তিনি একজন অভিনেত্রী। তাই সেটাই তাঁর প্রধান পরিচয় হয়ে থাকবে।
অভিনয় জগতের সঙ্গে যে সংযুক্তি নিয়ে অনুভব করেন রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে সেই সংযোগ নেই বলেই জানান অভিনেত্রী। তবে মানুষের সেবা করাকে কখনোই পেশা হিসেবে দেখেন না তিনি। রাজনীতি ময়দানের লড়াই করে কি কোনো পদ চাইছেন না পায়েল? তিনি বলেন,”না, একেবারেই না। এখন সেভাবে কিছু ভাবছি না।”