টলিউড

শশুর বাড়ির পদবী ব্যবহার করেন না অপরাজিতা! বিয়ের ছাব্বিশ বছর পরেও ‘আঢ্য’ পদবী ব্যবহারের কারণ জানালেন অভিনেত্রী

অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। বর্তমানে তিনি পর্দার কোজাগরী। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসাতে কোজাগরীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন অপরাজিতা।

তবে শুধুমাত্র অভিনয় জীবন নয় নিজের সংসারটাও গুছিয়ে করছেন তিনি। একের পর এক সিনেমা হোক কিংবা সিরিয়াল সবকিছুর পরেও সংসারে ফিরে যেতে হয় এই অভিনেত্রীকে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও ২৬ বছরের ধরে সুস্থ দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।

ছোট পর্দার কোজাগরীর মতোই অপরাজিতা আদতেই লক্ষীমন্ত বউ। তাইতো এখনো পর্যন্ত সুখী দাম্পত্য অপরাজিতা আঢ্য ও অতনু হাজরার। অপরাজিতার স্বামী টলিপাড়ার টেকনিশিয়ান অতনু হাজরা।

দুজনের লাভ ম্যারেজ। বর্তমানে দুজনে মিলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সংসার করছে সুখে। তবে এই ২৬ বছরেও নিজের জীবন থেকে একটা বিষয়ে বাদ দিতে পারেননি তিনি। তা হল অভিনেত্রীর পদবী।

আরও পড়ুন : “এখনও প্রেম আসেনি…” বসন্ত উৎসবে সম্পর্ক নিয়ে অপকট ‘জগদ্ধাত্রী’ অঙ্কিতা! এখনো সিঙ্গেল জ্যাস সান্যাল

অপরাজিতার বাপের বাড়ির পদবী হল ‘আঢ্য’। বিয়ের পর স্বামীর পদবী ‘হাজরা’। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সকলেই অপরাজিতাকে নামের পাশে আঢ্য পদবিতেই দেখেন। স্বামীর পদবী গ্রহণ করেনি তিনি।

এক সাক্ষাৎ করে এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়,”কেন পাল্টাতে যাব বলুন তো? এই পদবীটা আমার একান্ত নিজস্ব। এই পদবীটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। জন্মের পর থেকে অপরাজিতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আঢ্য় পদবীটা। বিয়ের পর হঠাৎ করে হাজরা হয়ে যাব। তাও আবার হয় নাকি!”

স্বামীর সঙ্গে অপরাজিতা আলাপ কিভাবে হয়েছিল জানেন? জানা যায়, এক টেলিফিল্মের শুটিং করতে তালসারি গিয়েছিলেন অপরাজিতা।সেখানেই অপরাজিতাকে ভালোবাসার কথা জানান অতনু।

বিয়ের প্রস্তাব সেই সময় নাটক করে দিয়েছিলেন অপরাজিতা। তালসারির এক বালির স্তুপে বসে শট দেওয়ার সময় অতনু জানতে চান, “তুমি কি আমায় বিয়ে করবে?” অপরাজিতা।

অপরাজিতার থেকে প্রত্যাখ্যান পাওয়ার কারণে দুঃখ পেলেও হাল ছাড়েননি অতনু। অপরাজিতার বান্ধবী অমৃতার সাহায্যে অতনুর বাড়িতে বউ হয়ে আসেন অপরাজিতা। তবে বিয়ের আগে শাশুড়ি মার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর অপরাজিতা ওই বাড়িতেই বউ হয়ে আসতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : অভিনয় জগতকে বিদায় জানালেন উদয় প্রতাপ সিং! কেন এমন করলেন অভিনেতা? জানালেন নিজেই

এখনো অতনু হাজরার মা অপরাজিতাকে খুব ভালোবেসে আগলে রাখেন। অপরাজিতা জানান,”আমি রাহু, তিনি কেতু। একই লোক দু’জনে। বিষ্ণু তাঁদের আলাদা করে। আমি মনে করি, তিনি এবং আমি মণিকাঞ্চন যোগ… আমি এবং আমার শাশুড়িমা একে-অন্যের জন্যই তৈরি।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh