গানের জগতকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হল জোরদার তর্জা! নেপথে নবীন গায়িকা অনন্যা চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট! “এত ঢাক পেটানোর কী আছে”? প্রশ্ন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মেখলার
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে জোরদার তর্জা। নেপথ্যে রয়েছে নবীন গায়িকা অনন্যা চক্রবর্তীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। যে পোস্টে বাংলার গানের জগত নিয়ে সমালোচনা করেছেন নবীন গায়িকা। এখানে গায়িকার দাবি “বিক্রম বেধা”র “অ্যালকোহলিয়া” গানের কিছু অংশ গাওয়া এমনকি গানটির মূল গায়ক স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের সাথে সম্পূর্ণ গানটি গেয়ে মুম্বাইয়ের নামি সংস্থার তরফ থেকে গান গেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এইটুকু সাফল্যের জন্যেও বাংলার গানের ইন্ডাস্ট্রি তরফ থেকে কোন শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়নি “সিনিয়র”দের পক্ষ থেকে। তবে গায়িকা উল্লেখ করে দেন যে, ব্যতিক্রম ছিলেন জয় সরকার এবং মধুবন্তী বাগচী।
তবে অনন্যার এই পোস্টে এবার মুখ খুললেন অনন্যার বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত। তিনি অনন্যাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে আসা ইস্তক তোমায় সবাই ধন্য ধন্য করবে। সবাই লাইন দিয়ে কাজে ডাকবে, কেউ ইগনোর করবে না, কেউ হিংসে করবে না, কেউ বাঁশ দেবে না, এটা তো ভাবাই উচিত না, এত ঢাক পেটানোর কী আছে?”
অন্যদিকে মেখলা আরো মনে করিয়ে দেন যে তিনি নিজে ফোন করে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন অনন্যাকে। এদিকে অনন্যা সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধুমাত্র জয় সরকার এবং মধুবন্তী বাগচীর নাম উল্লেখ করে মেখলাকে সেই তালিকাভুক্ত না করায় মেখলা আরো বলেন, “এই যে সেদিন সকাল সকাল এত খুশি হতে ফোন করে জানালাম, সেটা ভুলেও গেলি? তোর মতে সিনিয়র নই? নাকি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কেউ নই? কে শুভেচ্ছা জানাল, কে জানাল নাম এত হিসেব রাখতে গেলে তো আসল কাজটাই মাটি হয়ে যাবে”। যদিও মেখলার এই পোস্টে থেমে থাকেননি অনন্যা। তিনি পাল্টা জানিয়েছেন “সিনিয়র” বলতে তিনি যে সমস্ত গায়ক গায়িকার কথা বলেছেন তাঁদের থেকে মেখলা অনেকটাই জুনিয়র।
কিন্তু অনন্যার এই উত্তরে মেখলা আবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অনন্যার উত্তরে শিল্পী বলেন, “সিনিয়র বলতে কোন বয়স সেটা তুমি তোমার পোস্টে জানাওনি। স্কুল-কলেজে এক ক্লাস ওপরের দাদা দিদিকেও সিনয়র ভাবতাম। আর তা ছাড়া মত প্রকাশ ও ঢাক পেটানোর মধ্যে অবশ্যই সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে”।
প্রসঙ্গত অনন্যা তাঁর মূল পোস্টে লিখেছিলেন, “জানেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অংশ হওয়ার সবচেয়ে হতাশা কী? জয় সরকার ও মধুবন্তী বাগচীদি ছাড়া আর কোনও ‘সিনিয়র’ আমাকে ও স্নিগ্ধদাকে শুভেচ্ছা জানায়নি। এত বছর পর কলকাতা থেকে দুটো ছেলে মেয়ে এত বড় প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করল, হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ বা কল করে “খুব ভাল গেয়েছিস” কেউ বলেনি। আর সারা জীবন আমরা তাঁদের অনুসরণ করেছি, অনুপ্রেরণা পেয়েছি।”
শুধু এতটুকু বলেই থেমে থাকেননি গায়িকা। তিনি আরো লিখেন, “তাঁদের কিচ্ছু যায় আসে না। আমি জানি আমি ও স্নিগ্ধজিৎ বলিউডে আরও অনেক বড় বড় মানুষদের প্লেব্যাক করব। যারা শুনেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ”। উল্লেখ্য গত বুধবার নবীন গায়িকা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেছিলেন এই লেখাটি। কিন্তু বর্তমানে এই পোস্টটি এখন আর নবীন শিল্পীর প্রোফাইলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।