‘অত ভারি পোশাক, গয়না পরে হাত পা ছড়ে যেত’! রানির পোশাক-গয়না পরতে গিয়ে রোজ হাত-পা কেটে যেত অর্পিতার
এবার পর্দায় অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের দেখা মিলবে রানির সাজে। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারসের নতুন ছবি ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’-তে রানি কুসুমকলির চরিত্রে দেখা মিলবে অভিনেত্রীর। গতকাল, সোমবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে এই ছবির তৃতীয় গান মুক্তি পেল। তবে টলিউড অভিনেতা দেবের কথা থেকেই জানা গিয়েছে এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে নয় টেলিভিশনে ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।
যেহেতু ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ টেলিভিশনে ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে সেতু ছবিটি একসাথে বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। গত বছরের পর থেকেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি। সম্প্রতি এই ছবিটিও মুক্তি পাবে ওটিটিতে। ক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা থাকছে না। অনেক বেশি দর্শক একইসাথে এই ছবিটি দেখতে পাবেন, এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
এই ছবিতে রানি কুসুমকলির চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতার কথা এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বললেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, “আমি কখনও রানির চরিত্রে অভিনয় করিনি। কারণ, রূপকথা নিয়ে বাংলা ছবি প্রায় কয়েক দশক ধরে হয়নি। তবে গরমের মধ্যে ওই ভারি গয়না আর সাজ পরে অভিনয় করাটা খুব কঠিন ছিল। দুবার করে আমাদের লুক সেট করা হয়েছে। আর ছবি সংক্রান্ত সমস্ত পদক্ষেপে দেবও যুক্ত ছিল।
আমার লুকটার কৃতিত্ব অনিরুদ্ধ চাকলাদার আর পৌলমী গুপ্তর। তবে, দেখতে যেমন ভালো লেগেছে, শ্যুট করাটা ততটাই কঠিন ছিল। অত ভারি পোশাক, গয়না পরে হাত পা ছড়ে যেত। সেই কাটা জায়গার ওপরেই পরের দিন গয়না পরতে হত আবার।” তবে অভিনেত্রীর মতে যখন একটা নজিরবিহীন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা যায় তখন কষ্টগুলো ফিকে হয়ে যায়।
তিনি এও জানান এই ছবিটি ছোটদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। রূপকথার গল্পের সঙ্গে যাতে ছোটরা পরিচিত হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, “এখনকার ছোটরা খুব স্মার্ট। তবে আমরা আমাদের ছোটবেলায় রূপকথার গল্প শুনেছি দিদা, ঠাকুমাদের কাছে। এখনকার ছোটরা তো পোকেমন আর ছোটা ভীমে অভ্যস্ত।বাংলা রূপকথা সম্পর্কে তাদের কোনও ধারনাই নেই। এই ছবিটা এখনকার প্রজন্মের কাছে বাংলা রূপকথাকে তুলে ধরার দায়িত্বও বহন করবে।”
অভিনেত্রীর কথায়, এই ছবিটি শুট খুবই কঠিন ছিল কারণ সব চরিত্রই কাল্পনিক অর্থাৎ রূপকথার চরিত্র। তাই কাজের দিকেই মন থাকত সকলের। তবে তিনি এও জানান মজা করেই এই ছবির শুটিং করতেন সকলে।