৯০ বছরের জন্মদিনে ভক্তদের বড় সারপ্রাইজ দেবেন আশা ভোঁসলে!
লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর বলিউডে তিনিই একমাত্র কিংবদন্তি গায়িকা রয়েছেন যাকে সেই পুরনো স্বর্ণযুগের গায়িকা বলা যায়। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন পাঁচ মঙ্গেশকর ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান লতা মঙ্গেশকরের ছোট বোন আশা ভোঁসলে। এই দুই বোনই একসময় কয়েক দশক ধরে বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে রাজত্ব করেছেন।
আশা ভোঁসলে ৮ দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী তার কর্মজীবনে তিনি শুধু হিন্দিতে নয়, অন্যান্য ২০ টি ভারতীয় ভাষার পাশাপাশি কিছু বিদেশী ভাষাতেও গান রেকর্ড করেছেন। বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ১২ হাজার গানের ভাণ্ডার রয়েছে তাঁর। আগামী ৯ মার্চ রয়েছে এই কিংবদন্তি গায়িকার জন্মদিন। আর কদিন বাদেই তিনি পা রাখতে চলেছেন ৯০ বছরে।
আর তাঁর এই জন্মদিনের দিনটিতেই আশা ভোঁসলে বড়সড় উপহার দিতে চলেছেন নিজের ভক্ত আর অনুরাগীদের। কি উপহার দিতে চলেছেন তিনি তাঁর ভক্তদের? মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন আশা ভোঁসলে।
আরও পড়ুন : পিয়ানোয় সুর তুলেছে বছর তিনেকের ইউভান! ভিডিও পোস্ট করে আবেগে বসলেন মাম্মা শুভশ্রী
দেখতে দেখতে আজ অনেকগুলো বছর এই গানের জগতে পার করে দিলেন কিংবদন্তি গায়িকা। তাঁর গানের জাদুতে তিনি মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। আজও তাঁর গানের জাদুতে মুগ্ধ সকলে। আর তাই তাঁর শ্রোতাদের জন্য আগামী ৯ মার্চ জন্মদিন উপলক্ষে তিনি একটি লাইভ কনসার্ট রেখেছেন।
কিন্তু ৯০ বছরে পা রাখা এই কিংবদন্তি গায়িকার পক্ষে কি সম্ভব ঠিক আগের মতো স্টেজে গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখা? তবে আপনি জানলে অবাক হবেন প্রেস কনফারেন্স চলাকালীন আশা ভোঁসলে জানিয়েছেন, এখনও একটানা ১৮ টি গান গাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। কিংবদন্তি জানিয়েছেন, খানিকটা টাকার জন্যই তাঁর গানের জগতে পা রাখা।
কিন্তু যে সংগীত তাঁকে খ্যাতি দিয়েছে, প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, পরিচিতি দিয়েছে, সেই গানের সঙ্গ তিনি কখনও ছাড়েননি। তাই আজও তাঁর কণ্ঠে সংগীত বিরাজমান। আশা ভোঁসলের প্রথম ফিল্ম ট্র্যাক ছিল ‘চালা চালা নব বালা’, যা ১৯৪৩ সালের একটি মারাঠি ছবির জন্য তিনি গেয়েছিলেন।
‘পিয়া তু আব তো আজা’ এবং ‘ও হাসিনা জুলফো ওয়ালি’-এর মতো ডান্স নম্বর থেকে ‘দিল চিজ কেয়া হ্যায়’-এর মতো হৃদয়গ্রাহী গজল তিনি গেয়েছেন। আবার ‘তোরা মন দর্পণ কেহলয়ে’-এর মতো শাস্ত্রীয় পরিবেশনা করেও তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। তবে কিংবদন্তি গায়িকা গানের চর্চাকে ‘শরীরের যত্ন নেওয়ার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তিনি বলেন, তিনি কারও জন্য নয়, নিজের জন্য গান। কারণ, এটাই তাঁর সুখ। বিগত ৮০ বছর ধরে, তাঁর গলা, তাঁর গাওয়া গান যে শ্রোতারা ‘সহ্য’ করে আসছে, তার জন্যও তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নিজের ইচ্ছে ব্যক্ত করে আশা ভোঁসলে বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি শোয়ের জন্য মহারাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করতে চাই।
আরও পড়ুন : “আমাদের উপর কুদৃষ্টি দেবেন না”, পিঙ্কিকে আক্রমণ শ্রীময়ীর! প্রাক্তনকে “তৃতীয় ব্যক্তি” আখ্যা কাঞ্চনের
আমার শোটির নাম ‘ওহ ফির না আতি হ্যায়’, ইঙ্গিত করে যে এটি হবে না। কারো পারফরমেন্সের সাক্ষী না থাকার জন্য, আপনার কখনোই মনে শোক রাখা উচিত নয়। কিশোর কুমার এবং অন্যান্য গায়কদের লাইভ পারফর্ম না দেখে থাকার কারণে লোকেরা প্রায়ই আফসোস করে।
কিন্তু এখন, আপনি গর্ব করে বলতে পারেন আপনি আশা ভোঁসলের গান সরাসরি শোনার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।” আজ তাঁর দিদি আরেক কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর বেঁচে নেই। কিন্তু কখনও দিদির কথা ভুলে থাকতে পারেন না তিনি।
সম্প্রতিই এক রিয়েলিটি শো-তে এসে আশা ভোঁসলে জানিয়েছিলেন, তিনি ঠিক কতটা মিস করেন তাঁর দিদি লতা মঙ্গেশকরকে। এখনও দিদির উদ্দেশে চোখের জল ফেলতে দেখা যায় কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলেকে।