ঈশানের জন্মের আগে নুসরাতের শরীরে জমে ছিল বেবি ফ্যাট, তার জন্য যশ কেই দায় করেছেন অভিনেত্রী! সাক্ষাৎকারের জানালেন নিজের মাতৃকালীন সময়ের গল্প
গত বছরে টলিউডের তারা ছিল হট অফ দ্যা টপিক। তাদের সম্পর্ক নিয়ে রোজ নতুন নতুন কোন না কোন খবর বের হতো। তাদের সম্পর্কে নিয়ে নেটিজেনদের মনেও ছিল হাজারো প্রশ্ন। তাই তাদের সম্পর্ক নিয়েও বিভিন্ন কাটা ছেড়া হয়েছে। তাদের সম্পর্কে সমীকরণ নিয়ে উঠেছে অসংখ্য প্রশ্ন। আশা করি এতক্ষণে বুঝেই গিয়েছেন কাদের কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি যশ নুসরাতের কথা বলা হয়েছে এখানে। নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নুসরাতের গর্ভে সন্তান আসার পর থেকেই চর্চায় রয়েছেন অভিনেত্রী। তারপরে যশ এর সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করার পরেও তাকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। সমস্ত কৌতূহলে ভরা প্রশ্নের জবাব একটি সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলেন নুসরাত।
এক সাক্ষাৎকারের নুসরাত জানিয়েছেন ঈশানের জন্ম দেওয়ার পর তিনি অবসকেই ভুগেছেন। ‘আমি প্রত্যেকটা মুহূর্ত বেঁচেছি। ক্ষত শুকানোর মুহূর্তগুলো, বাচ্চার জন্ম দেওয়ার পরপরই কাজে যোগ দেওয়া। যশ এবং আমার বাবা-মা চাননি আমি ওত জলদি কাজে ফিরি (ঈশানের জন্মের ২ দুপ্তাহের মধ্যেই কাজে ফিরেছিলেন নুসরত)। ওদের মনে হয়েছিল আমি নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবছি না। তবে আমার কাছে আমার মানিসক স্বাস্থ্যটা বেশি জরুরি ছিল। তাই কাজে ফেরা। তবে অবশ্য়ই কম সময় কাজ করেছি। আমি ছেলেকে খাওয়াতাম, কাজে যেতাম, আবার ফিরে ওকে খাওয়াতাম। এটা চ্যালেঞ্জিং তবে অসম্ভব নয়, এইভাবে আমি প্রসব-পরবর্তী ডিপ্রেশনের কাছে হেরে যায়নি’।
নুসরাত জানান ঈশানের জন্মের আগে তার শরীরেও বেবি ফ্যাট জমেছিল। এরপর কতিন ওয়ার্ক আউট এর মাধ্যমে সেই মেদ ঝরিয়ে ফেলেছে। ‘আমার ওজন ছিল ৪৭ কেজি যখন আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। আর যখন আমি আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার ওজন ছিল ৭৫ কেজি! আমার ‘ক্রেজি’ হরমোনের পল্লায় পড়ে আমি যশকে কাঠগড়ায় তুলতাম। বলতাম, তোমার জন্য আমি মোটা হয়েছি! ও আমাকে প্রমিস করেছিল যে চিকিৎসক যখন আমাকে ওয়ার্ক আউট করবার অনুমতি দেবে ও আমাকে আগের মতো তন্বী দেহ ফিরে পেতে সাহায্য করবে। ঈশানের জন্মের তিন মাস পর থেকে আমি ওয়ার্ক আউট শুরু করি। আর গর্ব করে বলব, আমি এখন আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী আর ফিট। আমরা একসঙ্গে ওয়ার্ক আউট করি, জিমটা আমাদের জীবনের বিরাট অংশ। যশ এটা মানতে বাধ্য আমি ওর সবচেয়ে ভালো ছাত্রী। অন্য কেউ হলে পালিয়ে যেত ও এত কড়া!’
২০২১ সালে নুসরাত নিখিলের বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রীর গর্ভবতী হওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নুসরাতের গর্ভের সন্তানকে নিখিল পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করে। নুসরাত ও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তার গর্ভে সন্তান নিখিলের নয় এরপর থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন। তারপরে যশ এর দিকে থেকে সন্দেহের তীর যায় সকলের। ঈশানের জন্ম হওয়ার আগে পর্যন্ত নুসরাত এবং যশকে নিয়ে অনেক ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, সমালোচনা হয়েছে সারা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। এরপর ঈশানের জন্মের পর যশ নুসরাত নিজেদের সম্পর্ক সকলের সামনে নিয়ে আসেন।