“কাজ করলে শিল্পী টাকা পাবে, তবে সেই টাকা প্রযোজনা সংস্থা কোথা থেকে এনে দিচ্ছেন তা দেখার দায়িত্ব শিল্পীর নয়” অভিনেতা বনির পক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন এই প্রবীণ অভিনেতা
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বয়ে গেছে বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে মিমের স্রোত, সেই স্রোত এখনো বয়ে যাচ্ছে। সকাল বিকেল দুপুর রাত, দিনের চব্বিশ ঘণ্টাই চলছে বনি আর বনির ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ির ছবি নিয়ে ট্রোলিং। ছোটো বড়ো সকল মিমপেজই তাঁকে নিয়ে মিম ছাড়ছে। অভিনেতাকে ইতিমধ্যেই দু’বার তলব করা হয়ে গেছে ইডির (ED)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি কান্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের থেকে ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি নেওয়ার অভিযোগ।
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী বনি এখনো নির্দোষ কারণ সংবিধানে লেখাই আছে “Innocent until proven guilty” অর্থাৎ যতক্ষণ না এটি প্রমাণিত হচ্ছে যে ধৃত কুন্তল ঘোষ বনির মাধ্যমে তাঁর কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছিলেন ততক্ষণ তিনি নির্দোষ। তবে এইবার বনির পক্ষে কথা বলেছেন এক প্রবীণ অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তবে ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে যে কালো টাকা সাদা করা হয় একথা অস্বীকার করেননি তিনি।
তিনি বনিকে “বাচ্চা ছেলে” বলে সম্বোধন করে জানান, সবে সবে ইন্ডাস্ট্রিতে এসছে সে, সিনেমাও করেছে একের পর এক, পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছেন কোটি কোটি টাকাও। তবে প্রযোজনা সংস্থা কোথা থেকে সে টাকা এনে দিচ্ছে তা বনি কিভাবে জানবেন? প্রশ্ন রাখলেন চিরঞ্জিত। এক নাগাড়ে কাজ করে গেলে টাকার হিসেব অভিনেতারা কখনো রাখেনও না। সাহায্যের জন্য থাকে একজন পার্সোনাল অ্যাসিসটেন্ট (PA) এবং এক কিংবা একাধিক চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট (CA)। তাঁদের ওপরেই ভরসা করে থাকতে হয় বড়সড় শিল্পীদের।
তিনি আরো জানান শিল্পীদের পেমেন্ট সবসময় চেকের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। সিরিয়ালের ছোটো থেকে বড় সকল শিল্পীকেই টাকা দেওয়া হয় চেকের দ্বারা। সেই টাকা আসছে কোথা থেকে একথা শিল্পী জানবেন কি করে, আর জেনে করবেনও বা কি? অভিনেতা / বিধায়ক চিরঞ্জিত তাই বনিকে পুরোপুরি নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন, তবে এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। বাকি সমস্তটাই এখন নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত বিভাগ ইডি-র ওপর।