অভিনব নজির গড়ল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পরিবার! পুরুষ নয় চারজন মহিলা পুরোহিতই সম্পন্ন করলো গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
আমরা সম্প্রতি আমাদের মাঝখান থেকে হারিয়েছি বাংলা গানের জগতের অন্যতম নক্ষত্র গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কে। নিজের সুরেলা কণ্ঠে তিনি গোটা বাংলা কে মাতিয়ে রেখেছিলেন। এত বড় একজন গায়িকা হয়েও তার পাবলিসিটি একদমই পছন্দ ছিল না। সারাজীবন তিনি গানের সাধনা করেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি তার শেষকৃত্য খুব সাধারণ ভাবেই গানে গানে সম্পন্ন হয়েছে। লেক গার্ডেন এর বাড়িতেই তার শেষ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা দেবীর শ্রাদ্ধ এর কাজ করা হয়েছে, শেষ কাজ সম্পন্ন করেছে তার মেয়ে সৌমী সেনগুপ্ত। তবে এই শ্রদ্ধানুষ্ঠান কোনো পুরুষ পুরোহিত করেনি, করেছেন চারজন মহিলা পুরোহিত। এই বিষয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর মেয়ে সৌমী জানিয়েছেন “অবশ্যই মা এই ধরনের কোনো নির্দেশ দিয়ে যাননি।” আসলে সন্ধ্যা দেবী নিজেকে সবসময় গানের মধ্যেই রাখতেন তাই জন্যই যেহেতু মহিলা পুরোহিতরা গানে গানের মাধ্যমে মন্ত্র পাঠ করেন তাই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে সৌমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ঐদিন অনুরাগীদের জন্য প্রবেশ অবাধ নিষিদ্ধ ছিল না।
উল্লেখ্য এখন পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা সমান তালে পৌরোহিত্য করছেন। এর আগে বহুবার বহু জায়গায় আমরা নারী পুরোহিতকে পুজো করতে, বিয়ে দিতে এবং নানা শুভ অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়েছি। এমনকি এই নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একটি দুর্দান্ত সিনেমাও রয়েছে। আর সন্ধ্যা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও চার মহিলা পুরোহিত খুব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। তাদের হোম থেকে শুরু করে এর সংস্কৃত মন্ত্র পাঠ সবকিছুই মন ভালো করে দিয়েছে প্রত্যেকের। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নন্দিনী ভৌমিক, রুমা রায়,পৌলমী চক্রবর্তী, সেমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পন্ন করেছেন।
হোন্ডা দেবের সঙ্গে মমতা পাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। কিন্তু ভোট সংক্রান্ত কিছু কাজের জন্য তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে শ্রদ্ধা জানাতে একেবারে ভোলেননি তিনি একটি ফুলের স্তবক তার বাড়িতে মনে করে পাঠিয়ে দিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। কোন জিনিস উপস্থিত না থাকতে পারায় তার দলের বিশিষ্ট মন্ত্রীদের তিনি পাঠিয়েছিলেন সন্ধ্যে দেবীর সেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, মালা রায়রা উপস্থিত ছিলেন ঐদিন। উপস্থিত ছিলেন সুচিত্রা কন্যা মুনমুন সেন, সৈকত মিত্র, অরুন্ধতী হোমচৌধুরী, শিবাজী চট্টোপাধ্যায়রা।