“ওকে পেয়ে আমি সুখী…” তৃতীয় স্ত্রী শ্রীময়ীকে দরাজ সার্টিফিকেট কাঞ্চনের!
এই বসন্তে চার হাত এক হয়েছে কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিনে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয় কাঞ্চন আর শ্রীময়ীর। গত ২ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টলি পাড়ার এই জুটি। রিসেপশন হয়েছে গত ৬ মার্চ। অবশেষে বিয়ের পর নববিবাহিতার স্ত্রী অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে এবং তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে কি বললেন কাঞ্চন?
বিয়ের পরেই শ্রীময়ী জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে কোন কাজই করতে দিচ্ছে না কাঞ্চন। একেবারে যেন তুলুই মুড়িয়ে রেখেছেন।। তবে এবার কাঞ্চন জানালেন শ্রীময়ীর সঙ্গে কেমন রসায়ন জমেছে তার। জনপ্রিয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানালেন,”আমি খুবই ভালো আছি।
শ্রীময়ীকে পেয়ে আমি খুবই খুশি। ও গোটা বাড়ির দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।” পাশাপাশি তিনি জানান,”আমার বউ কিন্তু দারুণ রান্না করে। মাটন খুবই ভালো রাঁধে। শুঁটকি ঝুরো ব্যাপক করে। এছাড়া আমার বাড়িতে মা কালী, গোপাল আছে। সেসব দেবতার ভোগ শ্রীময়ী নিজের হাতেই রাঁধে।”
বর্তমানে কাঞ্চনের বয়স হল ৫৩ বছর। এদিকে শ্রীময়ের বয়স ২৭ বছর। দুজনের মধ্যে বয়সের এতটা পার্থক্যের কারণে এবং কাঞ্চনের তৃতীয়বার বিয়ে করার কারণে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে দুজনকেই।
তবে দীর্ঘদিন ধরে লোকের এত কথা সহ্য করার পর কাঞ্চন জানালেন, “ব্যাপারটা যার বিয়ে তার হুঁশ নেই পাড়া পড়শির ঘুম নেই হয়ে গিয়েছে। যে যার মতো বর্তমানে বাঁচুন। ভালো থাকুন।”
গত ৬ মার্চ দক্ষিণ কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর রিসেপশন পার্টির আয়োজন করা হয় কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, থেকে শুরু করে টলি পাড়ার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
তবে বিয়ে বাড়ির নানান জায়গায় একটি পোস্টার লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেখানে লেখা ছিল, “প্রেস এবং ড্রাইভার এবং ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের প্রবেশ নিষেধ।” আর এই বিষয়টা অনেকেই ভালোভাবে নেন।