“আমার সঙ্গিনীরও হয়তো কিছু বলার থাকতে পারে, সেটা ওর মুখ থেকে শোনাই বোধহয় ভাল”, নুসরাতের প্রসঙ্গে যশ দাশগুপ্ত
গত বৃহস্পতিবার নুসরাত জাহান জন্ম দিয়েছেন ছোট্ট এক বেবি বয়ের। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে নানা রকম কটূক্তির সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত। নুসরাতের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি মাধ্যমে কটূক্তির বন্যা বইতে থাকে। এই নিয়ে হাজারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রশ্ন করা হলেও কখনোই মুখ খোলেননি অভিনেতা এবং অভিনেত্রী দুজনেই।
মুখে কুলুপ এঁটে রাখার বিষয়টি মানুষকে আরো মুখিয়ে তুলেছে সমালোচনা করার জন্য। সব রকম ব্যক্তিগত প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন অভিনেতা এবং অভিনেত্রী দুজনেই। এত সমালোচনার ঝড়, এত কটাক্ষবান সবকিছুতেই তারা বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ দেননি। এমনকি নিজেদের সম্পর্কের কথা ও সব সময় চেপে রেখেছেন। সপ্তাহের শেষে একই জায়গায় ঘুরতে গেলে কখনই একই সাথে দুজনের ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়নি বরং একই ব্যাকগ্রাউন্ডে দুজনকে আলাদা আলাদা ছবি পোস্ট করতে দেখা যেত। এরকম নানা ছোটখাটো বিষয়ই অভিনেতা এবং অভিনেত্রী দুজনেরই ব্যক্তিগত জীবন তাসের ঘরের মতো ভেঙে দিয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত নিজে থেকে জানিয়েছেন সদ্যোজাত এবং মা নুসরাত জাহান দুজনেই খুব ভালো রয়েছেন। এর পরেই সেই সংবাদমাধ্যম থেকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন ঘিরে ধরা হবে যে নেই তাই আগে থেকে কড়াভাবে জানিয়ে দিয়েছেন,‘‘ব্যস, আর কোনও ব্যক্তিগত প্রশ্ন নয়’’। নুসরাত জাহান সন্তান প্রসব করার পরেই যশ দাশগুপ্ত নিজে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএমএস করে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি নুসরাতের প্রসব যন্ত্রণা ওঠা থেকে হসপিটালে নিয়ে আসা পর্যন্ত সব সময় পাশে দেখা গেছে অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত কে। একদম প্রথম দিনের মতোই আজ অবধি অভিনেত্রীকে আগলে রেখেছেন যশ দাশগুপ্ত।
সেই বিশেষ সংবাদমাধ্যম থেকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় প্রযুক্তি মানুষের কাছে কতটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলতে তখন অভিনেতা জানান, “এক জনের সম্পর্কে যথেচ্ছ ভুল খবর ছড়িয়ে পড়ছে। যেমন, আমার কথাই ধরুন। হয়তো এক মানসিকতা নিয়ে ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারে একটি কথা বা কারও লেখা ব্যবহার করলাম। দিনের শেষে দেখলাম সেটা নিয়েই সংবাদমাধ্যম তিল থেকে তাল বানিয়ে দিল!”
এর পরে সেই সংবাদ মাধ্যমের পাল্টা প্রশ্ন যদি অভিনেতা-অভিনেত্রী দুজনেই সংবাদমাধ্যমকে না এড়িয়ে সরাসরি মুখ খুলতেন তাহলে হয়তো এতটা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হতো না। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত উল্লেখ করেন, “আমি ছোট থেকে আজ পর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবন কারও সামনে আনিনি। আগামী দিনেও আনব না। তা হলে ‘ব্যক্তিগত’ শব্দটার মানেই থাকে না! যেটুকু জানানোর ঠিক জানাব। যেমন, বরাবর সবাই জানতে পারছেন। এই যে,হঠাৎ একদিন ভুয়ো খবর ছড়িয়ে গেল নুসরত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ও ভর্তি হলে, সন্তানের জন্ম দিলে কেন সেটা চেপে রাখব! তাছাড়া, সব কথা আমি একা বলব কেন? আমার সঙ্গিনীরও হয়তো কিছু বলার থাকতে পারে। সেটা ওর মুখ থেকে শোনাই বোধহয় ভাল।”