সমালোচনার মাঝেই মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত! সবকিছু সামলেই বসিরহাটের জন্য কী কী করেছেন তার কৈফিয়ত দিলেন সাংসদ অভিনেত্রী
বাংলা অভিনয় জগতের প্রথম সারির অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন নুসরাত জাহান। যদিও তিনি শুধুই একজন অভিনেত্রী নন। যোগ দিয়েছেন বঙ্গের রাজনীতিতেও। হয়েছেন শাসকদলের সাংসদ। যদিও অভিনেত্রী বারবার নিজের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য উঠে আসেন সংবাদের শিরোনামে। ফলে উঠে আসে বেশকিছু প্রশ্ন। যেমন কিছুদিন আগেই প্রশ্ন উঠেছিল নিজের জীবন নিয়ে মশগুল অভিনেত্রী আদেও কী গ্রাউন্ড লেভেল থেকে মানুষের জন্য কাজ করেন? তবে কখনো এই বিষয়ে কোনো কথা বলেননি অভিনেত্রী।
কিন্তু সম্প্রতি আনন্দলোককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মুখ খুলেন। নিজের কেন্দ্রের জন্য কী কী করেছেন তার সমস্ত খতিয়ান দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘অনেক কাজ হয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে। আমি এসব নিয়ে ঢাক পেটাতে পছন্দ করি না। ওই অঞ্চলে গেলে যে কোনও মানুষ বলবেন যে রাস্তা এখন কতটা ভালো হয়েছে’।
সংসদ অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রেগনেন্ট থাকাকালীন অভিনেত্রী বসিরহাটে গিয়েছিলেন। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেই সময় তাঁর ভীষণ কষ্ট হয়। সেখানকার সাধারণ মহিলাদের এই খারাপ রাস্তার জন্য যে কতটা কষ্ট হয় সেটা উপলব্ধি করতে পারেন অভিনেত্রী। সেই সময় রাস্তা মেরামত করারও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও তিনি, ‘ওয়াটার রিসোর্স কমিটি’র সদস্য। তাই বসিরহাটের জলের সমস্যা মেটাতেও তিনি বেশ কিছুটা সাহায্য পেয়েছিলেন।
লোকসভায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। কিন্তু তারপর কী করেছিলেন তিনি? অভিনেত্রী জানান, ‘বসিরহাটের মহিলাদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা করেছি। স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। প্রত্যেক গলিতে CCTV লাগিয়েছি। যাতে মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে চলাফেরার সাহস পান’। তাঁর আরো সংযোজন, ‘আমার একটা গোটা টিম রয়েছে। সেই টিম মানুষের জন্য সারাদিন কাজ করে। আমি গোটা বিষয়টি মনিটর করি। তবে এগুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ঢাকঢোল আমি পেটাই না’।
নিজের কাজ নিয়ে অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘কারণ, এটাই আমার কর্তব্য। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে ভরসা করে এই দায়িত্ব দিয়েছেন’। রাজনৈতিক চানাটানের মধ্যে বিজেপি কী কখনো তাঁকে দলেরা চেষ্টা করেছিল? অভিনেত্রী জানান, ‘এরকম অনেক কথা আকছার শোনা যায়। আমার কানেও বেশ কিছু কথা আসে। সেগুলো আমি কারওকে জানাতে চাই না। নিজের কাছেই রাখব কথাগুলো। আমি শুধু বলব, দলের প্রতি যথেষ্ট সৎ আমি’।
অন্যদিকে বাংলা অভিনয় জগতের এমন জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হওয়ার পরেও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমরা দেখতে পায়নি তাঁকে। কিন্তু এমন কেন? অভিনেত্রী জানান, ‘প্রেগন্যান্সির সময় আমি দিল্লিতে যেতে পারিনি। তাই এখন সেশন মিস করছি না। KIFF-এর সময় দিল্লিতে সেশন ছিল’।