টলিউড

ছবির স্বার্থে ২৫ কিলো ওজন বাড়িয়েছেন ঋতাভরি! একদম ঢেপসি! নিজেকে দেখে নিজেই কাঁদতেন অভিনেত্রী

মোটা মানুষদের কথা শুনতে হয় আজীবন। রাস্তাঘাটেই হোক কিংবা ঘরের ভেতর তাদের চেহারা দেখলে অনেকেই আড়ালে আবডালে মুখ বেঁকান। আর বডি শেমিং এর জন্য মূলত মেয়েদের দিকেই তীর ছোড়া হয়। আর সেটা যারা করেন তারা নিজেরা কতটা গুণবতী তার যাচাই করেন না। আবার তারাই যখন পর্দায় কোন মডেল দেখেন তাদেরকে চোখ সরাতে পারে না।

কিন্তু প্লাস সাইজ মডেল! সেটা আবার কি রকম? মডেল আবার মোটা হয় নাকি? হয়। আর এমনই এক গল্প নিয়ে উইন্ডোজ প্রোডাকশন আনছে ফাটাফাটি(Fatafati)। শনিবার উইন্ডোজ প্রোডাকশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই ছবি মুক্তি পাবে ১২ মে।

যার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতাভরি চক্রবর্তী(Ritabhari Chakraborty)। তার বিপরীতে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়(Abir Chatterjee)। অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই ছবির জন্য নাকি প্রায় ২৫ কিলো ওজন বাড়াতে হয়েছিল তাকে। যেটা ওজন কমানোর মতোই মারাত্মক শক্ত কাজ। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার অস্ত্রোপচারের পর ৭ কিলো ওজন বেড়ে গিয়েছিল। ঠিক করেছিলেন সেটা কমিয়ে নেবে। তখনই তার কাছে আসে ফাটাফাটি ছবির কথা। ভেবেছিলেন হয়তো আর ১০-১৫ কিলো ওজন বাড়াতে হবে। অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী,’ আমাকে আরো ১০ থেকে ১৫ কিলো ওজন বাড়াতে হবে। কারণ ছবির দৃশ্যের জন্য প্যাডিং অথবা অন্য কোন ভাবে সেটা ম্যানেজ করা সম্ভব ছিল না। তাই আমি ওজনটা বাড়িয়েই ফেললাম। সেটাও ২৫ কেজি’!

তিনি আরো বলেন,’ শেষ পর্যন্ত যখন ছবির কাজ শেষ করলাম,ডাবিংয়ের জন্য ছবিটা দেখছিলাম, চোখে জল এসে যাচ্ছিল। কারণ, ফুল্লরার এই যাত্রাটা আমি আশেপাশের প্রচুর মেয়ের সঙ্গে হতে দেখেছি। অভিনেত্রী হিসাবে যাই করি না কেন, ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়। সকলের বোঝা উচিত, মানুষের ওজন, চেহারা নিয়ে কখনও মন্তব্য করা উচিত নয়। ফাটাফাটির চিত্রনাট্যের জন্যই আমি ওজন বাড়ানোর ঝুঁকি নিয়েছিলাম।নিউট্রিসিয়ানিস্টদের পরামর্শ নিয়েই আমি ওজন বাড়িয়েছিলাম, আবার নিউট্রিসিয়ানিস্টের পরামর্শ মেনেই ওজন কমানো শুরু করি’।

তবে ওজন বাড়ানো এবং কমানো দুটো সমস্যাই মারাত্মক এটা বিশ্বাস করেন ঋতাভরি। ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ওজন বাড়াবার পরেও খুশি ছিলেন না পরিচালক। জানিয়েছেন,’ আমার পরিচালক অরিত্র (মুখোপাধ্যায়) খুশি নয়। ও চাইছিল আমার মুখটা আরও ভারী লাগুক। তারপর আরও ১০ দিনের মধ্যে আরও মুখ ফোলানোর চেষ্টা করলাম। শেষপর্যন্ত যখন শ্য়ুটিং শেষ হল তখন আমি আবার আমার ফিটনেস জার্নি শুরু করি। তবে খুব চাপ দিয়ে কিছু করি নি। পরিমিত, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া এবং ওয়ার্কআউট করেছি, ধীরে ধীরে কমেছে। এই যে ওজন বাড়ানো কমানো এটার জন্যই আমার ছবিটার কথা সবসময় মনে থাকবে।’

তবে ছবির কাজ শেষ করার পর অভিনেত্রীর বিশ্বাস এই ছবি দেখার পর অন্তত কিছু মানুষ বুঝতে পারবে মানুষের চেহারা নিয়ে মন্তব্য করাটা কতটা দুঃখজনক। ঠিক একইভাবে সেটা মানুষকে কতটা আঘাত দেয় কষ্ট দেয়। হয়তো অনেক ক্ষেত্রে অসুস্থতা বা জেনেটিক কারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই কাউকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে যেন একবার ভেবে নেন প্রত্যেকে।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh