‘নতুন প্রেমিক আছে ওর। অনেক শুভেচ্ছা’, ব্রেক-আপ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রুদ্রনীল ঘোষ, বিয়ের আগেই তনুশ্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলো রুদ্রনীলের
৫০-এর কাছাকাছি পৌঁছেও অবিবাহিত রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। বর্তমানে তার বয়স ৪৮। এখনো পর্যন্ত ছাতনা তলায় তাকে দেখা যায়নি একবারও। মাঝের শোনা গিয়েছিল তনুশ্রী চক্রবর্তীর সঙ্গে তার একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। শোনা গিয়েছিল বিয়ের কথাও। শোনা যায়, বছর পাঁচেক আগে তনুশ্রীকে বিয়ের কথা জানিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্ক টেকেনি।
সম্প্রতি এই মেয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। একটি প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে তার ব্রেকআপ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম, তবে বন্ধুত্বকে অন্য আকার দিতে গিয়ে দেখলাম স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলে অনেক কিছু বাধো বাধো ঠেকবে। বন্ধুকে যে কথা অবলীলায় বলা যায়, তা প্রেমিকাকে বলা সম্ভব নয়। তাই আলাদা হয়ে গেলাম।”
টলিপাড়ায় কান রাখলেই শোনা যাবে তনুশ্রী চক্রবর্তীর নতুন সম্পর্কের কথা। রুদ্রনীলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরই তিনি ব্যবসায়ী রাজকুমার গুপ্তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তাদের সম্পর্কের কথা জানতে বাকি নেই কারোরই। এই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল জানিয়েছেন, “ও এখন নতুন জীবনে পা রেখেছে। নতুন প্রেমিক আছে ওর। অনেক শুভেচ্ছা।”
তিনি আরো বলেন, পেশাদার অভিনেতা হিসেবে তনুশ্রী চক্রবর্তীর সঙ্গে পর্দায় কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই তার। চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রীমন্ত সেনগুপ্ত পরিচালিত ছবি ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-তে একই সাথে পর্দায় দেখা গিয়েছিল এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রীকে।
রুদ্রনীল ব্যাচেলর থাকবেন কিনা সেই প্রশ্ন তাকে করা হলে তিনি উত্তরে জানান, “বিয়েতে আমার আপত্তি নেই। হতেই পারে, আজ থেকে দু’তিন মাস পরে আমি বিয়ে করে নিলাম।” তার এই মন্তব্যের পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তার জীবনেও নতুন কেউ এসেছেন? এলে তিনি কে? তবে এখনই সেই প্রশ্নের জবাব পরিষ্কারভাবে দেননি অভিনেতা।
বিধানসভা ভোটের সময় দুজনেই বিজেপির হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। টিকিটও পেয়েছিলেন দুজনে। রুদ্রনীল দাঁড়িয়েছিলেন ভবানীপুর থেকে, তনুশ্রী দাঁড়িয়েছিলেন শ্যামপুর থেকে। তবে দুজনেই ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। ভোটে পরাজিত হয়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। এখনো বিজেপিতেই আছেন রুদ্রনীল।