‘গান গেয়ে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করতে না পেরে এখন অন্য উপায়ে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করতে হচ্ছে রূপঙ্করকে’-রূপঙ্করের পোস্ট নিয়ে তুমুল বিতর্ক নেট পাড়ায়
বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কে কে- কে নিয়ে মন্তব্য করে রীতিমতো তুমুল বিতর্কিত হয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। তার মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যে কেকের মৃত্যু হলে সবাই মিলে তাকে তুলোধোনা করতে শুরু করেন। তার বলা বক্তব্য ‘হু ইজ কেকে’ ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়, জনরোষ আছড়ে পড়ে রূপঙ্করের ওপর। বিভিন্ন রকম ট্রোলিং শুরু হয় তাকে নিয়ে। ঘটনার তীব্রতা ও জনরোষ বুঝে প্রেস ডেকে ক্ষমা চান রূপঙ্কর বাগচী।
সেই ঘটনার পর থেকে সময় ভালো যাচ্ছে না গায়কের। রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে নেটিজেনদের মানভঞ্জন করবার পরেও আজও সেই পূর্বের মতো জনসমর্থন ফিরে পাননি তিনি। মাঝখানে তার একটি গান নিয়ে তুমুল ট্রোলড হয়েছিল যে সেই গানটি নাকি হিন্দি একটি গানের কপি। বৃহস্পতিবার রাত্রে হঠাৎ ই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন গায়ক, যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে যায়। এই দিন ফেসবুকে নিজের গান গাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে গায়ক লেখেন,‘আমি ফাটলে’- রূপঙ্করের দেওয়া এই ক্যাপশন দেখে নেটিজেনরা মোটেই খুশি হননি বা মজা পাননি বরং রেগে গিয়েছেন।
একজন লিখেছেন ,‘শ্রোতাদের গান গেয়ে উত্তেজিত করতে ব্যর্থ হয়ে এখন ফাটিয়ে উত্তেজিত করতে হচ্ছে!ছিঃ’। একজন আবার লিখেছেন,‘পাবলিক যা ফাটিয়েছে’ আর একজন লিখেছেন যে,‘ আপনার দশাটা ঠিক এখন বাংলাদেশের নোবেলের মতো। যতই চেষ্টা করুন না কেন আপনি আর আমাদের মনে থাকছেন না স্যার।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে রূপঙ্করের বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন মনোরমা ঘোষাল। মনোরমা নিজেকে গায়িকা বলে দাবি করে জানান যে,“রূপঙ্কর এবং কম্পোজার পার্থ বন্দোপাধ্যায়ের নামে জেনারেল ডায়েরি করতে এসেছি। ৬ মাস আগে আমার চ্যানেলে গানটা আপলোড করেছিলাম। গানটির ভিডিও করেছিলাম কম্পোজার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় পারিশ্রমিক নিয়েই আমার গানটি প্রমোট করেন। আমি ওকে এটাও বলেছিলাম যে এটা আমার সম্পূর্ণ নিজের গান। গানটি যাতে সকলের কাছে পৌঁছয় সে জন্য আমি ওঁকে প্রমোশন করতে বলেছিলাম। তার জন্য উনি যথাযথ টাকা নিয়েছিলেন।